• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
নেত্রকোনায় কাভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ১ নওগাঁয় সড়কে ঝরলো শিক্ষক সহ দু’ জনের প্রাণ, শিশুসহ ৬ জন আহত কলমাকান্দায় ৩০ বোতল ভারতীয় মদসহ এক ব্যক্তি আটক। ৩১ দফা বাস্তবায়নই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ — বেলাল ই বাকী ইদ্রিশী পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ৫৪ বছরের কলঙ্কমুক্ত হবে দেশ: জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের রাণীনগরে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু নওগাঁয় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী নওগাঁয় ট্রেনের নিচে কাটাপড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু বাহুবলে সড়ক পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন করলেন এমপি প্রার্থী মখলিছুর রহমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ত্রাণপ্রত্যাশীসহ নিহত ১ হাজার ৭৬০ জাতিসংঘ
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
শহিদুল ইসলাম / নওগাঁ জেলা সিনিয়র প্রতিনিধি / ১৫৭ জন দেখেছেন
আপডেটঃ বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২

জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আসছে নওগাঁর রফিজান মেমোরিয়াল অটিস্টিক-প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়

 

নওগাঁর রাণীনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চল ভান্ডারগ্রামে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছে রফিজান মেমোরিয়াল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১শত ২৩ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা পাঠ গ্রহণ করছেন। বিদ্যালয়টিতে যেন শিশুরা পাঠ গ্রহণের পাশাপাশি বিনোদনও নিতে পারে সেজন্য রয়েছে খেলা ঘর ও থেরাপী কক্ষসহ আরো আয়োজন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা যে সমাজের বোঝা নয় এদেরকে ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলতে পারলে এরাও দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারে এই মূলমন্ত্রকে ধারন করে “আমরা করুনা চাই না চাই স্নেহ ভালোবাসা” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে ২০১৫ ইং সালে স্থানীয় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন নিজের ২৩ শতক জমিতে নিজস্ব অর্থায়নে গড়ে তোলেন বিদ্যালয়টি। এখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা যেমন স্নেহ আর ভালোবাসা পেয়ে বড় হচ্ছে তেমনি ভাবে নতুন করে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক বেকারদের। বিভিন্ন সমাজিক অনুষ্ঠানে নিজেদের দক্ষতার ছাপও রেখে চলেছে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৫১তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া, অবহেলিত, গরীব ও অসহায় মানুষদের জন্য আমাদের অনেক কিছু করার আছে। বিশেষ করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আমরা গ্রামাঞ্চলের মানুষরা বোঝা আর অভিশাপ মনে করি। কিন্তু এই শিশুদের সুন্দর পরিবেশে গড়ে তুলতে পারলে এরাও স্বাভাবিক মানুষের মতো সমাজে অবদান রাখতে পারে সেই বিষয়টিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের মাঝে পৌছে দিতেই আমি এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে স্থানীয় সকল শ্রেণির মানুষদের সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে আসছি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তেমন বড় ধরনের কোন সহযোগিতা পাইনি। বিশেষ করে এই প্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষক ও কর্মচারীরা শ্রম দিয়ে আসছে তারা সরকারি কোন ভাতা পায় না। তবে একদিন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় বিদ্যালয়টির ২৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারীরা নিরলস ভাবে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সেবা ও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশুদের নিয়ে আসার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে দুটি স্কুল ভ্যান তৈরি করা হয়েছে কিন্তু
আরো দুটি স্কুল ভ্যান হলে খুবই ভালো হতো। এছাড়া আধুনিক মানের একটি স্কুল ভবন, শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক হুইল চেয়ার, মানসম্মত ওয়াশরুম, বিদ্যালয়টির নিরাপত্তা প্রাচীর, বিদ্যালয়ে আসা অভিভাবকদের অপেক্ষা করার অভিভাবক কক্ষ, বিদ্যালয়ে যাতায়াত করার রাস্তাটির আধুনিকায়নসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে এই বিদ্যালয়টি আরো বড় পরিসরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের দেশের সম্পদে পরিণত করতে ভূমিকা রাখতে পারতো। আমি আশাবাদি মানবিক গুনাবলীর প্রধানমন্ত্রী আমার এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি সুদৃষ্টি দিবেন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে আমার এই স্বপ্নের বিদ্যালয়টি আরো বড় করতে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, আমি একাধিকবার এই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই বিদ্যালয়টি সত্যিই একটি বিস্ময়। আমি ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের দপ্তর থেকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছি তবে তা প্রয়োজনের চাইতে অনেক কম। তবে বিদ্যালয়টির সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সব সময় সহযোগিতা প্রদানের চেস্টা করবো।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories