মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চাচা আবদুল ওয়াহেদ (৫৫) হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ভাতিজা ফরিদুল ইসলাম (২৫) র্যাব-পুলিশের এক যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বগুড়া চারমাথা বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে এই হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরআগে ‘গত ২৬ নভেম্বর জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আবদুল ওয়াহেদ নামের এক ব্যক্তিকে তাঁর ভাতিজা ফরিদুল ইসলাম ছুরিকাঘাতে আহত করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই আবদুল ওয়াহেদের ছেলে জাকিরুল ইসলাম পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। পরে আবদুল ওয়াহেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’নিহত ব্যক্তির পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবদুল ওয়াহেদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর বড় ভাই আফজাল হোসেন ও লাল মিয়ার বিরোধ চলছিল। এর জেরে বিভিন্ন সময় আবদুল ওয়াহেদের বড় ভাই ও তাঁদের পরিবারের লোকজন তাঁকে (ওয়াহেদ) প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। ২৬ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে আবদুল ওয়াহেদ ব্যক্তিগত কাজে বাড়ির বাইরে বের হন। এ সময় এজাহারে নামীয় পাঁচজনসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা হাতে লাঠি, লোহার রড় ও ধারালো ছুরি নিয়ে আবদুল ওয়াহেদের পথরোধ করেন। আবদুল ওয়াহিদ পথরোধের কারণ জানতে চাইলে তাঁর বড়ভাই লাল মিয়ার নির্দেশে বাকি আসামিরা তাঁকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকেন। এ সময় তাঁর ভাতিজা ফরিদুল ইসলাম ধারালো ছুরি দিয়ে আবদুল ওয়াহেদের পেটের ডানপাশে আঘাত করেন। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।আবদুল ওয়াহেদের চিৎকারে আশপাশের মানুষজন ছুটে এলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে আবদুল ওয়াহেদকে তাঁর পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবণতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।প্রায় দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ছয়টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবদুল ওয়াহেদের মৃত্যু হয়।