১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি- এ তিন মূলনীতিকে ধারণ করে ছাত্রদল গঠন করেন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ২ নং রানীপুকুর ইউনিয়ন ছাএদল (১লা জানুয়ারি) গোটা দিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন. প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রানীপুকুর ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক জনাব মোজাহিদুল ইসলাম,বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন .ইউনিয়ন ছাএদল নেতা রোমান ইসলাম ও মাইনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে রেলি,আলচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর আয়জন করা হয়. ছাএদল নেতা-কর্মীরা ঢাক, ঢোল, কনসার্ট এর আয়জন না করে কুরআনের পাখিদের নিয়ে একবেলা খাবার এর আয়জন করেছিলো.এরশাদমোর,রানীপুকুরে অবস্থিত ইক্বরা তাদরিসুল কুরআন মাদ্রাসায় ৫৫ জন কুরআনের পাখিদের জন্য এ খাওয়ানোর আয়জন অনুষ্ঠিত হয়. রানীপুকুর ছাএদলের এই মহৎ উদ্বেগের ফলে গোটা দেশে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন. এ সময় প্রধান অতিথি জনাব মোজাহিদুল ইসলাম বলেন,ছাএদল বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা.তোমাদের প্রতি আমাদের অনেক চাওয়া-পাওয়া সবসময়ই থাকে. তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্ব রাখবে. ২০২৪ এর আওয়ামী স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকেই তোমাদের অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে.গত ১৬ বছরে ছাএদল সংগ্রাম,লড়াইয়ে,জনগণের অধিকার আদায়ে,হাজারো বাঁধা উপেক্ষা করে সব সময় মাঠে ছিলো.দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে অনেকে জীবন বিলিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করে নিহ.আমরা তোমাদের কখনও ভুলবো নাহ.তোমরা সব সময়ই ন্যায়ের পথে, সত্যের পথে অটল থাকবে. মহান আল্লাহ তোমাদের রক্ষা করবেন. তিনি আরও বলেন বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার এবং নির্বাচন—উভয়ই প্রয়োজন। বিদ্যমান ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করতে সংস্কার একটি অনিবার্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। একইভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টেকসই এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পন্থা।এ সময় রানীপুকুর ছাএদল নেতারা ২০২৪ এর করুণ কথা জানান,তারা বলেন,আমরা ছাএদল সব সময়ই মাঠে ছিলাম,আছি,থাকবো.কিন্তুু গত ১৫ বছরে যারা গর্তে লুকিয়ে ছিলো তারা এখন লাফাচ্ছে,জনগণের বাহবা পাওয়ার জন্য নানান ভাবে গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলতেছে.জনগণের আবেগ নিয়ে খেলতেছে। তারা আরও জানান বিএনপি নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র হলে তাঁর বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য রানীপুকুর ইউনিয়ন ছাএদল সবসমই প্রস্তুুত.বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন,ছাত্র–জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে মাফিয়াপ্রধানের পালিয়ে যাওয়ার পর প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সামনে এবার জনগণের কাঙ্ক্ষিত একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক মানবিক দেশে গড়ার পালা। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো যার যার দলীয় আদর্শ-কর্মসূচি উপস্থাপন করবে। জনগণের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবে। এটিই গণতান্ত্রিক রীতি। কিন্তুু বিশেষ একটি দল মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জনগণের সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে.