সৈয়দ সময়,নেত্রকোনা :
ট্রেন জার্নি আরামদায়ক ও নিরাপদ হওয়ায়নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে সকল শ্রেণীর যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে। প্রায় ৩ মাসধরে ময়মনসিংহ -মোহনগঞ রুটের লোকালট্রেনটি বন্ধ রয়েছে । রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে ,২৯ ডিসেম্বর ‘২৪ থেকে লোকাল ট্রেন টি বন্ধ থাকায় এ রুটের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে প্রতিদিন শিক্ষার্থী , ব্যবসায়ী,রোগী, চাকুরীজীবী সহযাতায়াত করা যাত্রীদের ভাড়া এবং সময় বেড়ে গেছে।লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায়মোহনগঞ্জ থেকে সকাল ৮ টায় ছেড়ে যাওয়া আন্ত:নগর হাওড় এক্সপ্রেসের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। যাত্রীরা বাধ্য হয়েই হাওড়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করছেন ,ফলে আন্ত:নগর হাওড় এক্সপ্রেসে স্বাভাবিক যাত্রী সেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। যাত্রীদের এখন অতিরিক্ত ভাড়া কেটে CNG বা বাসে চড়ে জেলা ও বিভাগীয় শহরে যেতে হচ্ছে।ময়মনসিংহ -মোহনগঞ্জ রুটে প্রায় ২৫টি উপজেলার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করতেন। ঈদ-উল-ফিতর কে সামনে রেখে লোকাল ট্রেনটি পুনরায় চালুর দাবি জানাচ্ছেন নেত্রকোনাবাসী । কিন্তু কর্তৃপক্ষের মতে, ট্রেনটি দ্রুত চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম ,কারণ এর ইঞ্জিন বিকল হয়ে চট্টগ্রামে মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। মোহনগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো: আতাউর রহমান জানান, তারা রেল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ইঞ্জিন মেরামত করে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন । তবে এটি কবে নাগাদ ঠিক হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেল জংশন থেকে ভোর ৫:৪০ মিনিটে ও দুপুর ২:১০ মিনিটে মোহনগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত । এতে পণ্যবাহী বগির পাশাপাশি যাত্রীবাহী ৫টি বগি থাকত । ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জে ৬৮:০৫ রেল পথে শ্যামগঞ্জ ,হিরণপুর , চল্লিশানগর , নেত্রকোনা বড় স্টেশন, নেত্রকোনা কোর্ট স্টেশন,ঠাকুরাকোনা ,বারহাট্টা , অতিথপুর ও মোহনগঞ্জ এই লোকাল ট্রেনের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল ছিলেন। প্রতিদিন এই ট্রেনে ২ থেকে ৩ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন ।নেত্রকোনা সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ,আবু আব্বাস কলেজ ও আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানান , তারা প্রতিদিন এই ট্রেনে যাতায়াত করতেন ।কেউ কেউ মোহনগঞ্জে শশুড় বাড়িতে আসা যাওয়াও কমিয়েছেন। তারা দ্রুত লোকাল ট্রেনটি পুনরায় চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান । এতদিনে ইঞ্জিন মেরামত না হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে । ঈদের আগেই লোকাল ট্রেনে চড়তে চায় নেত্রকোনাবাসী