এম এম এ রেজা পহেল, ধর্মপাশা( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় এবছর বোর ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে তবুও কৃষকের মুখে নেই হাসি। কৃষক বলছে ধান উৎপাদন খরচ আর ও বিক্রি করলে যে টাকা পাওয়া যায় তা প্রায় সমান হয়ে যায়। সরকার ১৪৪০/ টাকা মন ধান ক্রয় করছে, অথচ মাঠ পরজায়ে কৃষক পাচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০/ হাজার টাকা মন। গোডাউনে সিন্ডিকেটের কারনে প্রকৃত কৃষক ধান দিতে পারছে না। যদি কেউ নিয়ে যায় ধান ভালো করে শুকায়নি, মিটারে আসেনা বিভিন্ন বাহানা দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়। তাই সাধারণ কৃষকরা ধান গোডাউনে দিতে আগ্রহী হয় না।কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলায় ছোট বড় ৮০ টি হাওর রয়েছে, এর মধ্যে এবছর ৩১৯১০ হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ হয়েছে। হাওরে আবাদ হয়েছে ২৫১৮০ হেক্টর জমিতে। নন হাওরে আবাদ হয়েছে ৬৭০০ হেক্টর জমিতে।পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়াচাপুর গ্রামের কৃষক কানন মিয়া বলেন, আমি ১৬ কাটা জমি আবাদ করেছিলাম।৬০ মন ধান পেয়েছি। ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি, সার কিটনাসক অন্যান সব খরচ বাদ দিয়ে চার হাজার টাকা পেয়েছি। সারা বছর কষ্ট করে এই টাকা নিয়ে চলবো কি করে । বাজারে গেলে ধান ছাড়া সব জিনিস পত্রের দাম বেশি।ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাল মাসুদ তুষার বলেন, এবছর বোর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, ধর্মপাশা উপজেলায় সম্ভাব্য উৎপাদন হবে ২০৭৫০০ মে: টন ধান। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮ শত কোটি টাকা। আজ পর্যন্ত হাওরের ফসল শত ভাগ কাটা শেষ হয়েছে। নন হাওরের ৫০ ভাগ কাটা হয়েছে। আশা করি এক সাপ্তাহের মধ্যে কাটা শেষ হবে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জনি রায় বলেন, এবছর বোর ফসলের আবাদ ভালো হয়েছে, একজন কৃষক গোডাউনে দের টন ধান দিতে পারবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। যদি কোন কৃষক সিন্ডিকেটের কারনে ধান দিতে না পারলে আমাকে জানালে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন কৃষকের দুইশ মন ধান থাকলে তার জবাবে তিনি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত দের টনের বেশি দেওয়া যাবেনা। কোন সিন্ডিকেট থাকলে তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।