সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নে সোমবার দুপুর ২ টায় বাদশাগঞ্জ বাজারের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানে কালিজানা গ্রুপ জলমহালের পাহারাদারদের বেতন ও অংশিদারদের টাকা মেরে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান মোহাম্মাদ সোহেল মিয়া। তিনি বলেন, আমি মোহাম্মদ সোহেল মিয়া পিতাঃবীর মুক্তি যোদ্ধা মৃত নূর হোসেন, সাং উত্তর বীর,কালিজানা গ্রুপ ফিশারি একজন অংশিদার।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটি এবং অন্য এই জলমহাল এর অন্য আরেকজন অংশিদারের লিখিত বিবৃতিতে আমি হতভম্ব। আবুল মনসুর শওকত একজন সম্মানিত ব্যক্তি এবং আমার বাবার সাথে অত্যন্ত সুস্পর্ক ছিলো। এই ফিশারি গত বছর টেন্ডারে আসলে আমি অংশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হই।আমার বাবার হাতে তৈরি করা উদয়ন মৎস্যজীবি সমিতি দিয়ে ছয় বছরের জন্য স্কীম রেডি করি এবং পাটনার হিসেবে হামিদুল হক মিলন কে ঠিক করি। আমাদের কারোর কাছেই নগদ টাকা পয়সা ছিলো না পেঅর্ডার করার জন্য তখন আমি,মিলন এবং সমিতির সভাপতি বেনু মিয়া সুনামগঞ্জ শওকত সাহেবের কাছে যাই।উনাকে শরিক হওয়ার প্রস্তাব দিলে উনি রাজি হন এবং পে অর্ডার এর সমস্ত অর্থ পনের লক্ষ টাকা ১৩/১২/২০২১ তারিখে প্রদান করেন।পরবর্তীতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আমদের সমিতি ইজারা পায়। কিন্তু আমি এবং মিলন আমাদের অংশের খাজনার টাকা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হই। পরে বাধ্য হয়ে আবুল মনসুর শওকত খাজনার সম্পুর্ন টাকা নিজের ব্যাংক হিসাব, মেসার্স শওকত এন্টারপ্রাইজ একাউন্ট নাম্বার ০২১০৯০২০০১৭৭০ হিসাব থেকে ৯/৬/২০২২ ইংরেজি তারিখে ৯৩৬৯৯৭০(তিরানব্বই লক্ষ উনসত্তর হাজার)টাকা প্রদান করেন।
শুধুমাত্র মানবিকতার জন্য আমাদের দুইজনকে ২ আনা অংশের শেয়ার পরিশ্রমের বিনিময়ে প্রদান করেন। শওকত সাহেব বিলের অবস্থান থেকে বেশ কিছুটা দূরে জেলা সদরে অবস্থান করেন এবং জলমহাল এর অবস্থান ধর্মপাশা। এই কারণে বিলের সার্বিক দায়িত্ব মিলন কে প্রদান করেন। এই সুযোগে মিলন বিলের কাটা,বাঁশ,দেয় এবং পাহাড়াদার নিয়োগ করে। খন্ডবিল গুলো সে কাউকে জিজ্ঞেস না করে একাই বিক্রি করে আটান্ন লক্ষ টাকার বিশাল পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করে। তার কাছে শওকত চাচা হিসেব চাইলেই সে বিভিন্ন তাল বাহানা করে, হিসেব দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। সে লাখ লাখ টাকা নিজের ভোগ বিলাসিতায় খরচ করে। ছেলেকে দামি মটর সাইকেলএবং মোবাইল কিনে দেয়। মোহনগঞ্জ অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে। এইসব খবর পেয়ে শওকত সাহেব হিসাবের জন্য চাপ দেন। শেষ পর্যন্ত সে হিসাব নিয়ে সুনামগঞ্জ হাজির হয়।হিসাবে সে নিজের ইচ্ছে মত খরচ দেখায়। যাতায়াত খরচের খাতে সে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা দেখায়।কাটা,বাঁশ সহ বড় জালের আমদানি সহ প্রায় সাতাশ লক্ষ টাকার হিসেব প্রদানে সে ব্যর্থ হয়।
চুরি ধরা পড়ার পরে অন্যান্য সকল অংশিদারগন তাকে চলতি দায়িত্ব থেকে অপসারণ করেন। তার পরেও সে ক্ষান্ত হয়নি। কিছুদিন আগেই সে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বিলের সরকারের কাছে থেকে প্রাত তিন লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ব্যাপারে আমি সোহেল বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করি। বর্তমানে তদন্ত চলমান। একাধিক মামলার আসামী হামিদুর হক মিলন এবং তার নেশাগ্রস্থ ইয়াবা ব্যবসায়ী ছেলের তান্ডবে এই জলমহালে চলতি সনে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা লস হয়েছে। মিলন তার নেশাগ্রস্ত ছেলে,তার দুই ভাই মোহন, এবাদুর তার ফুপাত ভাই সবুজ এবং চাঁন মিয়ার সন্ত্রাসী তান্ডবে আমরা অন্যান্য শরীকগন এই জলমহাল লসে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি।মিলন এবং তার পরিবারের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আগামীতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।এরা কাউকে শান্তিতে এই জলমহাল শাসন করতে দেবেনা।সমিতির সভাপতি বেনু মিয়া অক্ষর জ্ঞানহীন এই সুযোগে ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের সহ সভাপতি হামিদুল হক মিলন বিভিন্ন সময়ে জাল জালিয়াতির সাহায্যে নিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করে রেখেছে, যাতে তাকে ছাড়া এই জলমহালে কেউ শাসন করতে না পারে।
এমতাবস্থায় আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের সহ সভাপতি হামিদুল হক মিলন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তি হীন। আমি এ জলমহালের পাঁচ আনা অংশের মালিক। মূলত আমাকে ঠকানোর জন্য পাটনাররা এধরনে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ।