
সাভার প্রতিনিধিঃসাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রথম কর্মসূচী পালন করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি, যুবশক্তি। এসময় শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন নেতাকর্মীরা।শনিবার (২৪ মে) সকাল ৯ টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যুবশক্তি তাদের কার্যক্রম শুরু করে।এসময় জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম বলেন, যুবশক্তি কখনো অন্য দলের যুব সংগঠনের মত হবে না। ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে না। দেশের মূল চালিকাশক্তি এই যুব সমাজকে কাজে লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারন করেছি আমরা। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থান রাখবে যুবশক্তি। আমরা মনে করি যুবকদের জন্য আমরা যে কাজ করছি সেটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। তিনি বলেন, গতানুগতিক ধারায় আমরা দেখে এসেছি যে, মেইনস্ট্রিম রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠন গুলো সমাজের মধ্যে একটি ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে যুব সংগঠনগুলোকে তারা সেখানে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই জায়গা থেকে অবশ্যই যুবশক্তি একটি ভিন্নতর অবস্থান গ্রহণ করবে এবং যেকোনো ধরনের অন্যায় টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ সামাজিক যে অপকর্ম রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে জাতীয় যুব শক্তি বলিষ্ঠ অবস্থান ব্যক্ত করবে। তারিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে আমরা সংস্কারের পথে রয়েছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা জানি যে ২ হাজারের মতো প্রাণ শহীদ হয়েছে শুধুমাত্র রাষ্ট্র পূণর্গঠনের জন্য। আমরা মনে করি যে একটি রাষ্ট্র গঠন করার সময় হয় তখন, যখন একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয় এবং রাষ্ট্রে গণঅভ্যুত্থান হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে রাষ্ট্র গঠন করার সময় আমরা পেয়েছি, যে সময়টি বর্তমানে আমরা অতিক্রম করছি, এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই রাষ্ট্রকে রাষ্ট্র হয়ে ওঠার জন্য যে ধরনের সংস্কার প্রয়োজন সেই সংস্কার অবশ্যই রাষ্ট্রকে বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সাথে অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে অবশ্যই জুলাই সনদ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করতে হবে।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেই হবে না সরকারের জায়গা থেকে যে ম্যান্ডেড দিয়েছে, যে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বাংলাদেশে নানান ধরনের ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। যে ইস্যুগুলোর জন্য জুলাই ঘোষণাপত্রের মত এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যে গুরুত্ব বহন করে ২ হাজার শহীদের আত্মত্যাগের একটি স্বীকৃতি। সেই স্বীকৃতিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অনেক অপশক্তি বর্তমানে রাজপথে সক্রিয় আছে। আমরা মনে করি যুবশক্তি অবশ্যই জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করার জন্য, এই জুলাই ঘোষণাপত্র যেন অনতিবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় সেজন্য রাজপথে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করবো। জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করার আগ পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।তিনি বলেন, আমরা অতি শীঘ্রই রাজপথে ডাক দেবো বাংলাদেশের যত যুব সংগঠন রয়েছে। যুব সমাজ যারা কাজ করে তাদের সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করবো। জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করা এবং আদায় করা হবে যুবশক্তির অন্যতম ম্যান্ডেড। যুবশক্তি বাংলাদেশের যুব সমাজকে একত্রিত করার জন্য সারাদেশে যুব মার্চ তারা পালিত করবে। আমরা ঈদের আগেই আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করবো, প্রত্যেকটা জেলায় জেলায়, উপজেলা, থানা, মহানগর পাড়া-মহল্লায় যুবশক্তি পৌঁছে যাবে।এদিকে মূখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল বলেন, আমরা চাই দেশের এই বিশাল জনশক্তি রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভিন্ন মাত্রার শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করছে জাতীয় যুবশক্তি। এসময় সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাবে জাতীয় যুবশক্তি এসময় জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় ও এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।