• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
কলমাইদে নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সালাম  রাণীনগরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন নওগাঁয় ১শ’ ৯৩কেজি গাঁজা ও ৪টি দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ মাদক কারবারী আটক আটপাড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শ্রীপুরে শিশুর লাশ দাফনে বাধা, ২২ ঘণ্টা পর সম্পন্ন নানা আয়োজনে নেত্রকোনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক জনতার বিক্ষোভ গাজা নগর দখলের আগে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত গোবিন্দগঞ্জে নজরুল হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
রিয়াদ হাওলাদার, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : / ২৫ জন দেখেছেন
আপডেটঃ বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের সুপারি রপ্তানির সুযোগ পেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের  সম্ভাবনা

রিয়াদ হাওলাদার, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) :
লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ ও কমলনগর উপজেলায় সুপারি চাষ সর্বাধিক। সাধারণত আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বীজ রোপণ করা হয়, এবং গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায় প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর পর।গাছ একবার ফল দিতে শুরু করলে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত ফলন দেয়। প্রতি একর জমিতে ১৫০-২০০টি সুপারি গাছ রোপণ করা যায়। গড়ে প্রতি গাছ থেকে বছরে ১০০০-১৫০০টি সুপারি পাওয়া যায়। এ হিসেব অনুযায়ী, একটি একর জমি থেকেই বছরে লক্ষাধিক টাকার সুপারি বিক্রি করা সম্ভব।চাষিদের ভাষ্য অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থাকলেও লক্ষ্মীপুরের মাটি ও আবহাওয়া এখনও সুপারি চাষের জন্য উপযোগী। জৈব সার ও পরিবেশবান্ধব পরিচর্যার মাধ্যমে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।সুপারি গাছ রোপণের পর শুরু হয় যত্নের দীর্ঘ অধ্যায়। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার, গাছের গোড়ায় সার দেওয়া, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা এই পরিচর্যার অংশ।সুপারি সংগ্রহের সময় শ্রমিকদের অত্যন্ত সাবধানে গাছে উঠতে হয়। একেকটি সুপারি নামাতে গিয়ে জীবন ঝুঁকির কথাও শোনা যায়। এ ছাড়া, সংগ্রহের পর শুরু হয় ধোয়া, স্লাইস করা, রোদে শুকানো, এবং বাজারজাত করার জটিল প্রক্রিয়া।বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে লক্ষ্মীপুরের সুপারির চাহিদা ব্যাপক। ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে লক্ষ্মীপুরের সুপারিই সবচেয়ে বেশি সরবরাহ হয়। প্রতি কেজি সুপারি বিক্রি হয় ২৫০-৩০০ টাকা দরে, আর প্রক্রিয়াজাতকৃত পণ্য বিক্রি হয় আরও বেশি দামে।একই সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা, আসাম এবং মধ্যপ্রদেশেও লক্ষ্মীপুরের শুকনো সুপারি চোরাপথে প্রবেশ করে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। সরকারিভাবে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে।সুপারি শিল্প শুধু কৃষক নয়, নারীদের জন্যও সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। লক্ষ্মীপুর ও রায়পুরে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট ঘরোয়া কারখানা, যেখানে নারীরা সুপারি কেটে, শুকিয়ে এবং বস্তায় ভরে বাজারজাত করছেন।স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রতি বছর প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার সুপারি বাণিজ্য হয়, যার মধ্যে ৪০ শতাংশই আসে রপ্তানিযোগ্য প্রক্রিয়াজাত সুপারি থেকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories