সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :
কালোবাজারীর উদ্দেশ্যে টিসিবি’র চাল মজুদের অপরাধে সেনাবাহিনীর হাতে আটকের পর কৌশলে পুলিশের হাত থেকে পলাতক এবং এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলার আসামি মো: শামছুল হক ওরফে চ্যাম্পিয়নকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে ঢাকা র্যাব-১ উত্তরা ক্যাম্প।গ্রেফতারকৃত মো:শামছুল হক ওরফে চ্যাম্পিয়ন (৩৮) নেত্রকোনার মদন উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নে চকপাড়া ঠাকুরবাড়ি গ্রামের মৃত আবু চাঁনের ছেলে ২১ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে র্যাব-১৪ (সিপিসি-২) এর অধিনায়কের পক্ষে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান, র্যাবের মিডিয়া অফিসার।সোমবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৮ নম্বর সেক্টরের ৯/এ প্লটের উত্তরা বনবিথী কমপ্লেক্সের সামনের রাস্তার উপরে অভিযান পরিচালনা করে চ্যাম্পিয়নকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।র্যাবের পক্ষে থেকে আরো জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত চ্যাম্পিয়ন সরকারি টিসিবির চাল কালোবাজারীর উদ্দেশ্যে মজুদ করেন। পরবর্তীতে গত ২৮ জুন কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার (৪১) বাদী হয়ে মদন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি নিয়মিত মামলা করেন।ঘটনার পর র্যাবের কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহণ করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন (শুক্রবার) দিবাগত রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫০ কেজি ওজনের ২৫ বস্তা সরকারি চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে মদন উপজেলা সদরে নিয়ে আসেন সঙ্গবদ্ধ একটি কালোবাজারী চক্র। এ সময় পথিমধ্যে উপজেলার আখাঁশ্রী গ্রামের সামনে আসলে জনতার হাতে আটক হন চোরাচালানী চক্রটি। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ অলিজুজ্জামান ও মদন অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।পরে চোরাকারবারী হ্যান্ডট্রলি চালক শাহ আলম ও টিসিবির ডিলার শামছুল হক চ্যাম্পিয়নসহ ২জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন। পরে জব্দকৃত চালসহ তাদেরকে মদন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্তু পথে পুলিশের হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে যান কালোবাজারী চক্রের সদস্য টিসিবি ডিলার ও যুবদল থেকে বহিস্কৃত নেতা শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন।এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “টিসিবি’র চাল কালো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদের অপরাধে সেনাবাহিনীর হাতে আটকের পর কৌশলে পুলিশের হাত থেকে শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন পালিয়ে যায়। ২৪ দিন পর (র্যাব-১ উত্তরা ৮ নং সেক্টর থেকে) আটক মদন থানায় হস্তান্তর করেন। আটককৃত আসামী চ্যাম্পিয়নকে মঙ্গলবার নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে