নড়াইলের লোহাগড়ায় শেফালী বেগম (৪৫) নামে এ গৃহবধূ কে গলা কেটে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নাসির উদ্দিন হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শেফালী বেগম একই গ্রামের আলিম শেখ এর স্ত্রী।
তার স্বামী আলিম শেখ জাহাজের মাস্টার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় বর্তমানে জাহাজ নিয়ে ভারতে আছেন। এবং একমাত্র ছেলে বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার জন্য ঢাকাতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গৃহবধূ শেফালী সকালে শেফালী ঘুম থেকে না ওঠায় স্বজনদের সন্দেহ হয় এবং এক পর্যায়ে জা পারুল বেগম ঘরের পেছনের দরজার ছিটকানি বন্ধ দেখতে পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে শেফালীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান।
খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পরে নড়াইলের বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সহ সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে থানা পুলিশের সদস্যদের সাথে ঘটনাস্থলে আসি। আমাদের সন্দেহ হয়ত বা রাতে তিনি বাহিরে বাথরুমে গিয়েছিলেন তখন ঘরে দুর্বৃত্তরা ঢুকেছিল। ঘরের আলমারীতে চাবি ঢোকানো এবং ৫ টি স্বর্ণের খালি বাক্স খাটে পড়েছিল।আমাদের ধারনা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দূর্বৃত্তরা এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করতে পারে।
নিহত শেফালী বেগমের দেবর আবেদ শেখ (৫০) অভিযোগ করে বলেন, ‘টাকা ও সোনার জন্য আমার ভাবীকে খুন করা হয়েছে, আমরা এ নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই ‘।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন,দুপুরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা বঠি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথামিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে আশা করছি খুব দ্রুত হত্যার রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।