অনলাইন ডেস্ক:
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হওয়ার সময় ক্যামেরা দেখে তিনি মুখ লুকিয়ে রাখেন এবং পরে আদালতে অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে।গ্রেপ্তারের পর অপুকে হাজতখানায় রাখা হয়। আদালতে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি মাথা নিচু করে কোনো মন্তব্য করেননি। পুলিশের আদেশেও তিনি মুখ তুলে বলেননি এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান জানান, অপু ও তার সহযোগীরা সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজির অভিযোগে তদন্তাধীন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ রয়েছে এবং গত ১৭ জুলাই বাদীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা উদ্ধার করার প্রয়োজন রয়েছে।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কায়য়ুম হোসেন নয়ন বলেন, অপু জুলাইয়ের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করে আসছেন এবং এদের শেল্টারদাতা রয়েছেন। তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োজন।অপু’র পক্ষে আইনজীবী সাজিদুল ইসলাম রুবেল অভিযোগ করেন, অপুকে ফাঁসানো হয়েছে, মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার করেছেন এবং মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলে দাবি করেন।আদালতে জানে আলম অপু বলেন, আমি চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই, আমি ও আমার চার সহযোগী নির্দোষ। শুধু রিয়াদ নামে একজনই চাঁদাবাজ।’বিচারক অপুকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে চাই, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ অপু অভিযোগ করেন, রিয়াদ তাদের ফাঁসিয়েছে।শুনানি শেষে আদালত তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। শুনানির পর অপু সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন আমি ২২ জুলাই থেকে কিশোরগঞ্জে ছিলাম, ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’আদালতে উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য বলেন, এই ধরনের মামলায় অভিযুক্তদের সঠিক নাম প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায় না,পরে সংশোধন করা হয়।এর আগে শুক্রবার ডিবি পুলিশ তাকে ওয়ারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।