আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনের চালানো ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে। একইসঙ্গে মধ্য রাশিয়ার একটি তেল শোধনাগারে হামলার ফলে সেখানে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক গভর্নররা।রাশিয়ার পেনজা অঞ্চলে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ড্রোন হামলায় এক নারী নিহত ও আরও দুইজন আহত হন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পেনজা অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ মেলনিচেঙ্কো।
একই রাতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সামারা অঞ্চলে একটি ঘরে আগুন ধরে যায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে। আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ভায়াচেস্লাভ ফেডোরিশচেভ।রোস্তভ অঞ্চলেও একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ড্রোন হামলার পর আগুন ধরে যায়। সেখানে কর্তব্যরত এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন বলে জানিয়েছেন রোস্তভের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর ইউরি স্লিউসার। তিনি আরও বলেন, “সেনাবাহিনী রাতভর ব্যাপক আকাশ হামলা প্রতিহত করেছে এবং সাতটি জেলার আকাশে ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার (২ আগস্ট) তারা রাশিয়ার রিয়াজান অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগারে সফল হামলা চালিয়েছে, যার ফলে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের ‘Unmanned Systems Forces’ আরও জানায়, তারা ভোরোনেজ অঞ্চলের আনানেফতেপ্রোডাক্ট (Annanefteprodukt) নামে একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগারেও হামলা চালিয়েছে। যদিও হামলার ধরন ও কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি, তবে ইউক্রেনের ড্রোন ইউনিট দীর্ঘ-পাল্লার ড্রোন হামলায় দক্ষ।এছাড়া ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ (SBU) দাবি করেছে, তাদের ড্রোন রাশিয়ার প্রিমোরস্কো-আখতার্স্ক সামরিক বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। ওই ঘাঁটি থেকে ইউক্রেনে বহুবার ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।এসবের পাশাপাশি এসবিইউ জানিয়েছে, পেনজা অঞ্চলের একটি ইলেকট্রনিক্স তৈরির কারখানাতেও হামলা চালানো হয়েছে, যা রাশিয়ার সামরিক শিল্প খাতে সরবরাহ করে থাকে।উল্লেখ্য, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই ধরনের ড্রোন হামলা ও পাল্টা জবাব নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে উভয় পক্ষের মধ্যে।