• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
কবিতা-মানুষ এক মহাকাব্য আটপাড়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস- .২০২৫ পালিত মদনে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণে অনিয়ম:ধসে গেল এ্যাপ্রোচ মদনে স্বামী স্ত্রীকে মারধর রক্তাক্ত জখম করায় থানায় মামলা পৌর উত্তর কাটলী জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন মুফতি ফয়জুল করিমের আগমন উপলক্ষে নেত্রকোনায় ইসলামী আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন স্বাধীনতা ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক যতীন সরকার মারা গেছেন লেবানন বিদেশী হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে, প্রেসিডেন্ট ইরানের কর্মকর্তাকে জানালেন ক্লিনটন থেকে ট্রাম্প কিভাবে পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কূটনীতি করেছেন বাংলাদেশি কর্মকর্তারা দুর্নীতি মামলায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
সৈয়দ সময় ,নেত্রকোনা: / ৫ জন দেখেছেন
আপডেটঃ মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষক কে মারধর করেন সহকারী শিক্ষিকার স্বামী

ছবি : সংগৃহীত ।

সৈয়দ সময় ,নেত্রকোনা:

নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন সহকারী শিক্ষিকার স্বামী সেমিয়া স্কুলের অফিস কক্ষে ক্ষিপ্ত মাসুদ করিম।তিন দিনের ছুটি নিয়ে বিনা অনুমতিতে ১৭ দিন অনুপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রিক্তা বেগম। পরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দিনের স্বাক্ষর করতে চান। এতে রাজি না হওয়ায় ওই শিক্ষিকার স্বামী সেমিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে মারধর করেন।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক বিচার চেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও প্রধান শিক্ষককে মারধর করায় অভিযুক্তের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।মারধরের শিকার আবু মোসহাব মোহাম্মদ হায়দার খান বারহাট্টা উপজেলার সেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) পদে রয়েছেন।আর অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন, সদর উপজেলার কুমারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ করিম।মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল আজম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গতকাল সোমবার মারধরের শিকার আবু মোসহাব মোহাম্মদ হায়দার খান এ অভিযোগ দেন।গত ৭ আগস্ট নিজের স্কুলে ক্লাস ফেলে রেখে মাসুদ খান সেমিয়া স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক হায়দার খানকে মারধর করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলার সেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রিক্তা বেগম ২২ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। কিন্তু ছুটি শেষে তিনি আর বিদ্যালয়ে যোগ দেননি। বিনা অনুমতিতে আরও ১৪ দিন অনুপস্থিত থাকেন। পরে ৭ আগস্ট ওই শিক্ষিকার স্বামী মাসুদ করিম সেমিয়া স্কুলে যান। এসময় প্রধান শিক্ষক হায়দার খান পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করছিলেন। মাসুদ করিম শ্রেণিকক্ষে ঢুকে তার স্ত্রীর চিকিৎসা ছুটির আবেদন দেখিয়ে ২৭ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত দিনের জন্য শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরের সুযোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তবে প্রধান শিক্ষক তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদ করিম শ্রেণিকক্ষেই প্রধান শিক্ষক হায়দার খানকে গালিগালাজ ও মারধর করেন।ঘটনা জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদ করিমের বিচার চেয়ে গতকাল সোমবার সেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।এ বিষয়ে সেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) আবু মোসহাব মোহাম্মদ হায়দার খান বলেন, তিন দিনের ছুটি নিয়ে আরও অতিরিক্ত ১৪ দিন অনুপস্থিত থাকেন সহকারী শিক্ষিকা রিক্তা। গত ৭ আগস্ট তার স্বামী আরেকটি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাসুদ করিম আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ওই সময় আমি ক্লাসে ছিলাম। তিনি ক্লাসে গিয়ে তার স্ত্রীর চিকিৎসা ছুটির আবেদন দেখিয়ে অনুপস্থিত দিনের জন্য হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য চাপ দেয়৷ আমি তাতে রাজি হইনি। কিন্তু তার চিকিৎসা ছুটিতে সুপারিশ করে দিয়েছি। এতে মাসুদ করিম ক্ষুব্ধ হয়ে ক্লাসেই শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে আমাকে গলাধাক্কা দেন ও মারধর করেন। এ ঘটনায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। যদিও আজ পর্যন্ত ওই শিক্ষিকা স্কুলে যোগ দেননি।এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কুমারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ করিমের মোবাইফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।তবে তার স্ত্রী সেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রিক্তা বেগম বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি কাউকে মারধর করেননি। আমি অসুস্থ ছিলাম তাই ছুটির আবেদন নিয়ে যথা সময়ে যেতে পারিনি। আমার নৈমিত্তিক ছুটি অনেক পাওনা রয়েছে। চাইলে তিনি সেখান থেকে ছুটি দিতে পারতেন।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল আজম বলেন, স্কুলে গিয়ে শিক্ষককে মারধর করা খুবই অন্যায় কাজ। তবে বিষয়টি আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করছি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories