চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পরকীয়া, মিথ্যা প্রচার ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিবনারায়ণপুর বাঘীতলার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম মমিন। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের একটি অফিসে ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনিরুল ইসলাম মমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাবেক স্ত্রী নারগিস বেগম আমার বন্ধু মাসুদ রানা জিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এনিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে শালিস হলে ৩ ছেলে মেয়ের কথা ভেবে সংসার চালিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় বাধ্য হয়েই তালাক দেয়। এর জের ধরেই আমাকে রাতের অন্ধকারে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর আমার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হয়। ১৬ জুলাই রাত ১০টার দিকে সোলেমান বাজার এলাকায় ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এসময় মাথায় ১৭টি সেলাই দিতে হয়।মনিরুল ইসলাম মমিন অভিযোগ করে বলেন, আমার উপর এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে আড়াল করতে আমার সাবেক স্ত্রী ও তার পরিবার নানারকম ষড়যন্ত্র করে। মারধরের ঘটনাকে পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় আপত্তিকর অবস্থায় আটক বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিক্তিহীন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান মনিরুল ইসলাম মমিন। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম মমিনের বাবা মো. রাজাতুল্লাহ বলেন, ছেলের বউয়ের সাথে ছেলের বন্ধু জিয়ার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনাটি জানাজানি হলেও তা বরাবরই তারা অস্বীকার করে। পরে হাতেনাতে প্রমাণ পেলে তাকে নিয়ম মাফিক তালাক দিয়ে ডিভোর্স দেয় আমার ছেলে। কিন্তু এর জেরেই প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা করা হয়৷ এ ঘটনায় মামলা করেছি, ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আমরা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানায়। তবে হামলা ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন মনিরুল ইসলাম মমিনের সাবেক স্ত্রী নারগিস খাতুন। তিনি বলেন, আমি পরকীয়া করি না। বরং আমার স্বামীই আমার আপন ভাবীর সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খেয়ে মার খেয়েছে। মারধরের শিকার হয়ে উল্টো আমাদের দোষ দিয়ে মিথ্যা মামলা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মনিরুল ইসলাম মমিনের বাবা মো. রাজাতুল্লাহ ও ভাই নাইমুল হক, খালাতো ভাই জামির উদ্দিন, উদ্বারকারী তোফাজ্জল হকসহ পরিবারের সদস্যরা।