শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
নওগাঁয় নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী মোসাঃ ফারিহা তাছনিম লেখা-পড়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে আসক্ত হওয়ায় এবং ফোনে অতিরিক্ত কথা বলায় তাকে তার মা বকাঝকা করে মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে নিষেধ করেন এবং প্রবাসে থাকা তার বাবাও মেয়েকে ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করায় বাবা ও মা’র উপর অভিমানে গ্যাসবড়ি সেবন করে আত্নহত্যা করেছেন মেধাবী স্কুল ছাত্রী মোসাঃ ফারিহা তাছনিম। এঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ১৩ আগস্ট নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে। স্থানিয় সুত্র জানায়, নাজিরপুর গ্রামের প্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে মোসাঃ ফারিহা তাছনিম বুধবার সন্ধার দিকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ার এক পর্যায়ে জানায় যে, সে আলুর বস্তাতে রাখা গ্যাস বড়ি সেবন করেছেন। এরপর সাথে সাথে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় পরিবার, আত্বীয়-স্বজন ও গ্রামের লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। ঘটনার সংবাদ পেয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনিছুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার পুলিশ ফোর্স সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। তবে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় এঘটনায় থানায় ইউডি মামলা অন্তে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।নিহত মোসাঃ ফারিহা তাছনিম মল্লিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলম বলেন, ফারিহা তাছনিম মেধাবী ও ভালো একজন ছাত্রী ছিলেন এমনকি ক্লাসে তার রুল নাম্বার ৯ ছিলো। তার এভাবে মৃত্যু বেদনা দায়ক। এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান জানান, মোবাইল ফোন আসক্তির কারনে বকা দেওয়ায় ঐ ছাত্রী বাবা- মায়ের উপর অভিমান করে গ্যাস বড়ি সেবন করে আত্নহত্যা করেছেন। এছাড়া কারো কোন অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।