সদ্যঘোষিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার(২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরের দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলটি চায়না মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা, যুবদলের সদ্যঘোষিত ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়াও তারা বলেন, সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন ধরে দলের সক্রিয় ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অরাজনৈতিক এবং ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে কমিটি পুর্ণাঙ্গ করেছে।
পদবঞ্চিতদের দাবী, সহ সভাপতি নুরুজ্জামান লিটন ও সাব্বির আহমেদ দিপু এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুমুল হক মাসুম দলের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। শুধুমাত্র অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে তাদের পদায়ন করা হয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান নিস্ক্রিয়। সভাপতির কাছের লোক হিসেবে তাকে পদ দেয়া হয়েছে। সহসাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিশু বিগত আট বছর ধরে আমেরিকা প্রবাসী। তাকে অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়া হয়েছে। খন্দকার মাহবুবুর রহমান মাহী সভাপতির ব্যাক্তিগত কাজের লোক। এ কারণে তাকে পদ দেওয়া হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মাহবুব ওরফে কসমেটিক্স মাহবুবকে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পদ দেয়া হয়েছে। কুড়ি বছরের অধিক সময় ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকা তাজুল ইসলামকে পদ দেয়া হয়েছে।
বঞ্চিতদের অভিযোগ, সামসুজ্জোহা সুমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে ক্যাফে ক্যাম্পাস নামে রেস্টুরেন্টের মালিক। ব্যাবসার কাজে ১০ বছর যাবত দলীয় কর্মকাণ্ড করেন না। দীর্ঘদিন ধরে যেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যম্পাসে যেতে পারে না, সেখানে সুমন ছাত্রলীগের সহযোগিতায় ব্যবসা করে আসছেন ১০ বছর ধরে। শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
তারা বলেন, এই কমিটিতে পদ পাওয়া এস এম ওবায়দুল্লাহ, জোবায়দুর রহমান জনি, আমান উল্লাহ বিপুল, ইউনুস আলী রবি, নাজমুল হুদা রাজু, কামরুল হাসান তালুকদার, খলিলুর রহমান, এন এম আব্দুল্লা উজ্জ্বল, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আয়ুব খান, মুরাদ খান, শাখাওয়াত হোসেন চয়ন, এস এম ওবায়দুল্লাহ, মাইনুদ্দিন রুবেল, মিজানুর রহমান শিশির, জাহিদ হাসান, প্রিন্স আহমেদ এমরান, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, খন্দকার মাইনুদ্দিন খোকন, রফিক আহমেদ ডলার, রুহুল আমিন বাবলু, দুলাল হোসেন, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং মজিবুর রহমান সবুজসহ শতাধিক পদপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন, আলি আশরাফ, মাহফুজউর রহমান মিনার, আবু সুফিয়ান দুলাল, আতিকুর রহমান আতিক, ওমর আলী বাবু, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি তারেক উজ জামান, নুরুজ্জামান মুকিত লিংকন, আশরাফুর রহমান বাবু, শোয়েব খন্দকার, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল, জাকির হোসেন খান, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, মিজানুর রহমান সোহাগ, সামসুল আলম রানা, এবিএম মহসীন বিশ্বাস, মেজবাউল আলম, সুমন চৌধুরী, আনোয়ার জাহিদ, জাকির হোসেন, শফিউল আজম, রাকিবুল হাসান হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম মাসুদ সরকার, খন্দকার রিয়াজ, মাজেদুল ইসলাম মাসুম, জিল্লুর রহমান কাজল এবং সৈয়দ আবেদীন প্রিন্স প্রমুখ।