• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
কলমাইদে নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সালাম  রাণীনগরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন নওগাঁয় ১শ’ ৯৩কেজি গাঁজা ও ৪টি দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ মাদক কারবারী আটক আটপাড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শ্রীপুরে শিশুর লাশ দাফনে বাধা, ২২ ঘণ্টা পর সম্পন্ন নানা আয়োজনে নেত্রকোনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক জনতার বিক্ষোভ গাজা নগর দখলের আগে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত গোবিন্দগঞ্জে নজরুল হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
নিজস্ব প্রতিবেদক,নুসরাত জাহান কচি / ২৯৫ জন দেখেছেন
আপডেটঃ শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

সাহিত্য দর্শনের অগ্রগতি ও আমাদের পুনর্জাগরণ

আজকের বিশেষ কলাম

সাহিত্য দর্শনের অগ্রগতি ও আমাদের পুনর্জাগরণ

★শফিকুল ইসলাম সোহাগ★

সাহিত্য একটি স্বতন্ত্র কাজ। ভিন্নদর্শন এবং একটি আপন ইতিহাস । যার মধ্যে নিহিত রয়েছে কল্যাণ । যার সজাগে সমাজের ব্যাক্তি পায় পথেরদিশা । বাস্তবায়ন হয় আশা ও আকাঙ্ক্ষার । এটাই সর্ব ব্যাপি শিক্ষাদর্শন । মানবসভ্যতার চিন্তার জগত । ঐতিহ্যের মহাসড়ক । সাহিত্যিকগণ অগ্রগতি ও পথপ্রদশর্নে জ্ঞানের স্বাধক । সুষ্ট সমাজে নৈতিক পরায়ন ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের অবকাঠামো গড়ার ভিত্তি তৈরী করেন । পৃথিবীর সকল জাতিই তার সমৃদ্বির সোপানে পৌছতে সকল চেষ্টা চালান । যারা সাহিত্য দর্শনে এগিয়ে , সে জাতিই সর্বেসর্বা । তারাই প্রসংশনীয় এবং উন্নতির মগডালে । সঠিক পথ নিদের্শনা দেন।  সাহিত্যিকগনই করেন প্রতিবাদ । তবে বর্তমান সময়ে স্যাকুলার তথা ভোগবাদী রাজনীতির জন্য আমরা উন্নত চিন্তায় উপনিত হতে পারছিনা । সেখানে নৈতিকতা পুরাপুরি ব্যার্থ বলা যায় । এখন মনে হয় বর্তমানে যে সংস্কৃতির ধারা তা আমাদের ভালো কিছুঁই দিতে পারছেনা । বরং অন্য কিছু দরকার।

অথচ ঐতিহ্যের শেকড় ভুলে যাই আমরা । ভুলে যাচ্ছি ইতিহাসের পুর্নপাঠ । হোক সে ইসলামি ঐতিহ্য বা অন্য যে কোন ধর্মের শেকড় । আমি মনে করি শেকড়েই মুল্যবোধ । তাই সাহিত্য সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য দর্শন হলো জীবন এবং জগতের যথার্থতা খোঁজা । সত্যের অনুসন্ধান । সুনির্দিষ্ট মুক্তিবোধে মানসিক বোধকে জাগ্রত করা । মনে রাখতে হবে আমাদের বিশ্বাসের মান তৈরী হয় সভ্যতা সংস্কৃতি,ধর্ম ,কর্ম এবং জীবন প্রনালীর মধ্য দিয়েই ।

আমাদের সামনে আগানো আর মানুষ হিসাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সাহিত্য এবং সংস্কৃতি এক অন্যতম প্রসঙ্গ । মানুষের প্রচলিত জীবন ধারাই সংস্কৃতি । মানব জীবনের সমস্ত কর্মকান্ডই সাংস্কৃতির প্রতিফলিত রুপ । সাহিত্য মননে সংস্কৃতির চিন্তা ও জাতি সত্তার ভিত্তিতে সভ্যতার দৃঢ় ভিত্তি গড়ে ওঠে । এখানে মানুষের অধিকার মূল্যবোধ, ঐতিহ্য, সম্মান, বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির অংশ । গণতান্ত্রিক চেতনার পরিধিও আমাদের জীবন সাদৃশ্যের সাথে মিশে গেছে ।

সামগ্রিক দিক থেকে আমাদের সাহিত্য আজ ভোগবাদে কোনঠাসা । ভাববাদের চেতনার সুবিস্তৃত বিন্যাস আর নেই । অবরুদ্ধ আজ বিজ্ঞানের অপব্যবহৃত রুপ কৌশলে । বিজ্ঞান আশির্বাদ না হয়ে অভিশাপের দরজায় কড়া নাড়ছে । চিরাচরিত যে সংস্কৃতি চর্চা এবং সাহিত্য সাধনা তা আজ আমাদের কাছে এনেছে অকল্যাণ, অপ্রিতি, বন্ধনহীন এবং অসংযম । এজন্যই স্পর্ষ্ট হয়ে উঠছে একটি ভিন্ন আঙ্গিকের চর্চা । প্রয়োজন অন্য কিছু । দরকার সততা, বিশ্বস্ততা, সত্যপ্রীতি, সৎচরিত্র, উদার দৃষ্টি ,  উচ্ছ্বাসা, আত্মসংযম, নম্রতা , সৎসাহস, ত্যাগ, কর্ত্যব্যবোধ , আনুগত্য এবং নিয়মানুবর্তিতা । যেখানে আমরা ধর্মের ক্ষেত্রেও এগুলো পেয়ে থাকি । ইসলাম ধর্মে বলাও হয়েছে “ ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান । যদিও আমরা এখন ধর্মান্ধতার বদনাম দিয়ে ধর্মহীনতার উৎসব করছি । অনেক সাহিত্য সংগঠনও মানুষের ধর্মবিশ্বাস এবং ঐতিহ্যকে অস্বীকার করছে । নগ্নতার আড়ালে করছে বিভিন্ন উৎসব । মৌলবাদ ধর্মান্ধ,এবং জঙ্গিবাজ কথাগুলো যেনো একটি পক্ষকেই উসকে দিচ্ছে ।
এরকম উসকানিমূলক রাজনীতি বর্তমান সময়ে আমাদের সাহিত্য অঙ্গনে জটিলতাই তৈরী করছে । করছে মানুষের বিভাজন । বাড়ছে দূরত্ব । মানসিক প্রবনতা দাড় করাচ্ছে ধর্মের বিরুদ্ধে । আজকাল দেখা যাচ্ছে রাজনীতিই সাহিত্য সংস্কৃতিকে পরিচালনা করছে । যেটা করার যোগ্যতা রাখেনা ।
অপাত্রে জল ঢালার মত । যদিও সুস্পষ্ট রাজনীতি তথা আইনের শাসন মানুষের অধিকার প্রতিষ্টায় ভুমিকা রাখে । পাশাপাশি রাজনীতির প্রভাব থাকা অযুক্তিক কিছুইনা । কিন্তু সংকীর্ণ রাজনীতি আমাদের ঐতিহ্য সামাজিক প্রথাকে ধ্বংস করছে ।

আজকাল বহুধাবিভক্তির সময়কালে আমাদের ব্যক্তি ,সমাজ ,রাষ্ট্রের সে সমস্যা দেখা দিচ্ছে তা আমি মনে করি সংকির্ণ রাজনীতিরই বহিঃপ্রকাশ । বরং লেখকের কাজ মুক্তমতের প্রকাশ ঘটানো । সকল অনুভুতিতে সম্মান করা । অল্পখেত লেখক হয়ে অনেকে সাম্প্রদায়িক এবং অসম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে । আঘাত হানছে মানুষের অধিকারের উপর । মানুষের ধর্মের উপর । পৃথিবীতে চৌদ্দ হাজার ধর্ম থাকার পরও কোন ধর্ম ওদের পথ দেখাতে পারেনি । বরং মানুষের ধর্ম নামে নতুন ধর্মের আবির্ভাব তা মতলববাজ টার্গেটের মতই ।
আমাদের কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি সৃষ্টির পেছনে শুধু কাজ করছে প্রত্যেক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অপরাজনীতি । তাদের কার্য কলাপ দেখে বিস্ময় জাগে । আধিপত্যবাদ নিয়ে কিছু কথা বললেও সেখানে সাম্প্রদায়িকতা ডুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে । তবে অপকৌশলকারীরাই কোনঠাসা হয় । ধর্মবিশ্বাসই মানুষের প্রতি মানবিক তাগিদ দিচ্ছে । সমৃদ্ধ করেছে আগামীর পথ । বিজ্ঞানের সুস্পষ্ট প্রয়োগ এবং ধর্ম বিশ্বাস সমতালে প্রয়োগ করলে মানবজাতির জন্য তৈরী হবে সুন্দর আগামী । উন্নতি আসবে প্রযুক্তিগত সম্প্রসারণে ।
মানুষের শিক্ষা সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং ধর্মবিশ্বাস পরস্পর ওতপ্রোতভাবে জড়িত । মানুষ সেখানে সব কিছুর নিয়ন্ত্রক । মানুষই সকল ধারা অনবরত সৃষ্টি করছে । সভ্যতা বিকাশে মানুষের ভূমিকাই প্রবলতর ভাবে কাজ করছে । মানুষই চারপাশ গতিশীলতা তৈরী করছে । সঠিক মূল্যবোধ ও দক্ষতাই মানুষকে সত্যিকারের মানুষে পরিণত করে । সেখানে ভাষা হলো মানুষের চিন্তা ও চেতনার বাহন । দেশ ও জাতীয় জীবনে ভাষার ভূমিকা অনস্বীকার্য । এটার মধ্য দিয়ে আমাদের আত্ম সমীক্ষা, মূল্যায়ন ও দশর্নগত মানের পরিশুদ্ধতা আসে । এটাই যোগায় অনুধাবন করার মূলশক্তি ।

আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ধারণা হচ্ছে শুধু নাচ, গান, নাটক কিংবা এমন কিছু বিষয় যা বিনোদনের সাথে যায় । ধর্মীয় সংস্লিষ্টতা নাই । ওরা পাপাচারের সাথে জড়িত । দুষ্টু হয় । পরিবার ভ্রষ্ট , সমাজ ভ্রষ্ট ,হয় লম্পট । এসব দুবর্লতা লেখকের ভুমিকাও কম নয় । তাদের ভালো কিছু, উৎকৃষ্ট কিছু সমাজের মানুষের কাছে দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে বলা যায় । এর পরেও সবকিছুর পাশ কাটিয়ে যে সাহিত্য চর্চা চলছে তা আজো আশাজাগানিয়া জানান দিচ্ছে বলা যায় । অভিশপ্ত সত্য বিচ্যুত পরস্পর অস্বীকারকারী ও স্ববিরোধী জাত কখনো গ্রহন যোগ্য আসনে বসতে পারেনা । তাদের উদ্ভট চিন্তায় প্রতারিত হয় প্রিয় পরিসর থেকে ।
ইতিহাস সভ্যতা ,সংস্কৃতি ,সাহিত্য এবং মানবিক সব কিছুই বিশ্বাস নির্ভর । আমি বলবো ধর্মীয় আচার অনুষ্টান থেকে বাঁচবার একটি কৌশলই ধর্মনিরপেক্ষতা । বরং এখানে নিরপেক্ষতার আড়ালে বর্তমান মুসলিম সভ্যতাকে বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র । যদি এই স্যাকুলার খ্রিষ্ট্রধর্মও পোপ এবং গীর্জাকে পাশ কাটিয়ে শাসনতান্ত্রিকতা তৈরী করার জন্য উৎসারিত । যে কারনে তৈরি ধর্মনিরপক্ষেতার দর্শন । কিন্তু বর্তমানে একে বাবহার করা হচ্ছে মুসলামানদের উপর । শুধু মুসলমানরা নিরপেক্ষ হলেই হলো । তবেই তাদের সব সমাধান ।

উন্নত জীবনের অধিকারী ভালো মানুষ কোন দিন অসভ্য ও অপসংস্কৃতির হয়না । বর্তমানে সাহিত্য সংস্কৃতির নামে মরমী, বাউল ,লোকজ ঐতিহ্য, মাজারী ,সাধক ইত্যাদি সংস্কৃতির রূপক করে ফেলছি । যার কারনে আমরা ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছি । প্রতারিত হচ্ছি আসল ভিত্তি থেকে ।মৌলিক কাঠামো থেকে ছিটকে পড়ছি । অস্তিত্ব ভুলে যাচ্ছি । ব্যার্থতার গ্লানিতে হারাচ্ছে আমাদের প্রাণ শক্তি । সমষ্টিক সুন্দর থেকে আমরা সরে যাচ্ছি । সাহিত্য সংস্কৃতির নামে তুলে আনছি মানুষ্যত্বহীন কর্মকান্ড । মানসিক দুষ্টক্ষত আমাদের শেকড়কে ভুলুন্টিত করছে । ব্যাহত করছে পরিশীলিত ও পরিশ্রুত জীবন ধারা ।
মানুষ কল্যাণের লক্ষ্যে কল্পনা শক্তি নিয়ে দৃশ্য এবং অদৃশ্যের জগতে সৃষ্টি করছে তাদের কর্মময় চিন্তা । বিশুদ্ধ প্রজ্ঞার মধ্যে দিয়ে শ্রেষ্ট হয়ে ওঠে আনন্দের চিত্ত । অপরূপ এবং উৎকৃষ্ট ভাবনার মধ্য দিয়ে ভাববাদী আবরণের জীবন দর্শন গড়ে তুলেন কবি এবং সাহিত্যিকগণ । নিজের সৃষ্টির সুন্দর্য উপভোগ করেন । অধিকারকে সামনে এনে মুক্তির অন্বেষায় মেতে ওঠেন । একজন প্রকৃত লেখকের মধ্যে থাকবেনা হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি, আর সংকীর্ণতা । শিল্পের সঙ্গেই থাকবে তার মনোযোগ । মানবতা উৎকর্ষ সাধনে সাহিত্য ও সংস্কৃতিই এক অবিনব অংশ ।
বিশ্বের শান্তি কল্যাণ এবং নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন সাহিত্যিকগণ । মানবতা উৎকর্ষ সাধনই তাদের মূল কাজ । নিপীড়ণের জন্য কলম ধরেন । এত কিছুর পরও অপসংস্কৃতির ঢেউ আকাশ ছোঁয়া । আজ প্রশ্নবিদ্ধ সাংস্কৃতিক সভা এবং সংগঠন । যেনো নগ্নতায় চেয়ে গেছে সব । অসস্তি চারপাশ । আজো মানুষ অধিকার থেকে বঞ্চিত । সাম্য, মৈত্রি ,স্বাধীনতার বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন চলছে । ধ্বসে যাচ্ছে মানুষের বিবেক । অমানুষ তৈরী করার প্রকল্প চলছে বেশ । বহুধাবিভক্তির ইঙ্গিত বিশ্বব্যাপি । লেখকের মধ্যে বিভাজনের চিত্ররূপ । চক্রান্ত আর চক্রান্ত । দালাল আর বাটপারে ভরে গেছে । আমাদের সংস্কৃতি অশ্লীলতায় পূর্ণ কতটুকু তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি । অশ্লীলতা দিয়ে সংস্কৃতি হয়না । এজন্যই আমাদের চলচ্চিত্র ধ্বংস প্রায় । যেখানে আমরা আমদানি করছি বহিঃরাগত সংস্কৃতিও ।
সেখানে আমরা দায়বদ্ধ হচ্ছি ইতিহাসের কাছে । চলচিত্র ব্যাবসা পথে ভালো শিল্পি তৈরী হচ্ছে না ।
আজ সকল দিকেই দেখছি ব্যর্থতার পাহাড় । সাহিত্যিক কর্মিদের কাছে নেই মানবতবাদী লেখা । তারা সাহস পায়না শাসকের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলতে । সত্য বলতে দ্বিধাবোধ করেন ।
সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে দেওয়া সংস্কৃতি হয়ে দাড়িয়েছে । তেলবাজি মহড়া চলছে বেশ । আঘাত হানছে আমাদের নিরাপত্তায় ।

ভবিষ্যত কেমন পৃথিবী চাই তা চিহ্নিত করেন সাহিত্যিক । প্রগতিশীল পথে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় সীমাবদ্ধতাকে ভেঙে ছুঁটেন লেখকগণ । সুন্দর মন ছাড়া সাহিত্য হয়না ।সফলতা আসে না ।

শুধু সাহিত্য রচনা করলেই হয়না বরং তা প্রায়োগিক ব্যবহার একান্ত দরকার । স্বার্থক শিল্পকর্মে আসে শক্তিমান কিছু এবং উন্নত কিছু ।রচনাশিল্পীর মান,সম্মান, বিবেক সম্পূর্ণ আলাদা ।তারা জাতিকে দিক নির্দেশনা দেন । তরুণদের দেখান উজ্জীবিত স্বপ্ন আলো । তারা সভ্যতার সুন্দরের বার্তাবাহক । জাতি রাষ্ট্রকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন । খুলে দেন সফলতার চাবিকাঠি ।

মনের উৎকর্ষ সাধনের মধ্য দিয়ে প্রেরণা ও উৎসাহ তৈরি করেন । চুলচেরা ভাবানুভুতির অনন্য বিশ্লষণে অন্তরাত্মার শক্তিতে তৈরি করেন রহস্যময় আবিষ্কার । কল্যাণবোধের সৌখিনতা নিয়ে নৈতিকতার পিরামিড তৈরিতে গড়েন প্রতিচ্ছবি । এখানেই সহজ জীবনের বন্ধনা এবং থাকবে মূল্যায়নের প্রদীপ্ত আলোকময় পথ ।

প্রত্যেক সংস্কৃতিই জাতিসত্তার ঐতিহ্যকে প্রকাশ করে । সংস্কৃতি মূলত মানুষের বিশ্বাস । সংস্কৃতির চর্চা মানে মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করা । কল্যাণের দিকে অগ্রসর করা । বিশ্বায়নের নামে আকাশ সংস্কৃতির কুশলতা, নিজস্ব কৃষ্টি কালচারের উপর যে নগ্ন চাপ তা নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে । আজ মিডিয়ার নিয়ন্ত্রিত প্রভাব এবং বলগাহানি অপপ্রয়োগ তা সৌন্দর্যের বিপরিত প্লাটফর্ম গড়ছে । অস্তিত্বের প্রশ্নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে ।
অসংলগ্ন আর বেপরোয়া শিক্ষাবিহীন মানসিক প্রবনতা আজ মৌলিক মেরুতে আঘাত হানছে । অজ্ঞতার অন্ধকার চেয়ে যাচ্ছে মানুষ ,পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্র । সর্বোপরি আমাদের সুদৃঢ় অবস্থানকেই ভূলুন্টিত করছে । সুবিন্যস্ত সৃজনশীলতাকে করছে পিচ্ছিল ।

সাহিত্য শিল্প এক ধরনের মানবিক ক্রিয়া । একজন সাহিত্যিকে সচেতনতার পাশাপাশি শিল্প সমাজকে গভীরভাবে উপস্থাপন করেন ।আদর্শিক জায়গাটা হওয়া উচিত সৎ । তা না হলে সৃষ্টির সৃজনশীলতা আসবে না ।
অনুভূতির বিতর্কিত অধ্যায় দিয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না ।

আজ বুদ্ধিদীপ্ত সৃজনশীল লেখকদের যখন দেখি ঘোলা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাদেরকে কুক্ষিঘত করে রাখেন । তখনি হাজার প্রশ্নবিদ্ধতার দেয়াল তৈরি  হয় । সুবিধাবাদি চরিত্র দরজায় কড়া নাড়ে । আপস করেন অপরাধ চক্রের কাছে । বিকিয়ে দেন তাদের আত্মসম্মান  । তেলবাজি আর আপসকামি চর্চা দিয়ে ভবিষ্যত আশা করা বোকামিই বটে ।

মূলত স্বকীয় নিঃশ্বাসে স্বস্তির বিশ্বাস তৈরি করে পথ চলতে হবে আমাদের  । নিবেদিত প্রানের সমস্ত মেধাবীরাই সৃজনশীল দুয়ারে শ্লোগান দেন , মানবিকবোধের প্রখরতায় ।

কিন্তু আজ সাহিত্য মননে নেই নৈতিকতা । মিথ্যার ফ্যাসাদে নোংরা হয়ে গেছে মানসিক অবস্থা  । আজ লেখকগণ নিজ স্বত্ব বিক্রি করে দিচ্ছেন ।

এ দায়ভার এবং ব্যার্থতার গ্লানি আমরা লেখকগন এড়িয়ে যেতে পারিনা । তারা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত । বহুরুপি সভ্যতার আড়ালে বিভাজনের রোষানলে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি । সত্য বলতে সাহস পাচ্ছিনা । সংকট নিরসনে প্রতিবাদী হচ্ছিনা । ভয়ে কথা বলছি না । সংকীর্ণ গন্ডির মধ্যে আমরা ঘুমাচ্ছি । বদরাঙি স্বভাব গড়ছি । জাতি গঠনে কোন উৎকর্ষতা চোখে পড়ছেনা । নীতিত ভাবে আমরা সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা বলেই উড়িয়ে দিচ্ছি । দেশাত্ববোধ কমে যাচ্ছে । ফলে মার খাচ্ছে সভ্যতার সৌখিন পথ এবং সৌখিন উৎসব উদযাপনের যাত্রা ।

লেখক কবি

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

সম্পাদক মহাসড়ক।

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories