
আশুলিয়ায় একটি মালিকানাধীন ৪ তলা বাড়ির ৩ তলার একটি ফ্ল্যাটে মুখের ভেতরে কেঁচি ঢুকিয়ে হত্যা। বিছানায় পড়ে আছে বাবার নিথর দেহ, মুখের ভেতর এফোড় ওফোঁড় হয়ে যাওয়া কেঁচি। কেউ মুখের ভেতর কেঁচি ঢুকিয়ে হত্যা করেছে প্যারালাইজড বাবাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে আশুলিয়ার উত্তর জামগড়া এলাকার আবুল ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ৪ তলা বাড়ির ৩ তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশী খালেদা বলেন, পূর্ণিমা বিকেলে অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকতেই দেখেন দরজা চাপিয়ে রাখা হয়েছে, ভেতর থেকে আটকানো না। পরে ঘরে ঢুকেই দেখেন বিছানার উপর শুয়ে আছেন বাবা। আর তার মুখে ঢোকানো কেঁচি। পরে চিৎকার দিলে আমরা দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি তার মুখে কেঁচি। পরে পূর্ণিমা কান্নাকাটি শুরু করে। পূর্ণিমার কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে পূর্ণিমার মাকে খবর দেয়া হয়।
নিহতের নাম শ্রী বিমল মন্ডল(৫০)। তিনি রাজবাড়ি জেলার নওরা বনগ্রাম গ্রামের মৃত খিতিস মন্ডলের ছেলে। বেশ কয়েক বছর আগেই প্যারালাইজড হলেও একটু আধটু হাটা চলা করতে পারতেন। প্যারালাইজড হওয়ার আগে পেশায় কাঠমিস্ত্রী ছিলেন তিনি। মেয়ে পূর্ণিমা ও স্ত্রী পারুলের সাথে জামগড়ার ফ্ল্যাটেই থাকতেন তিনি। মেয়ে ও স্ত্রী দুজনেই পেশায় পোশাক শ্রমিক।
নিহতের স্ত্রী পারুল বলেন, আমার স্বামী এর আগে দুবার স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়েছে। এখন কোনভাবে সকাল আর সন্ধায় একটু হাঁটে। আমার কোন শত্রু নেই, আমি কিভাবে সন্দেহ করব? আমার মেয়ের সেলাই মেশিন আছে, তারই কেঁচি এটা। আমার মেয়ের কেঁচি দিয়েই এই কাজ করেছে কেউ।
আশুলিয়া থানার এসআই নূরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত চলছে, এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা।