বিশ্ব মহামারী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী আর্থিক জনিত যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একটু সাশ্রয়ী,মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্ববান জানিয়েছেন।
সবাইকে একটু সতর্ক হয়ে জীবনযাপন করতে হবে নিজেদের সঞ্চয় আরো বাড়াতে হবে শুধু খরচ করলে হবে না, গ্যাস পানি বিদ্যুৎ তেল ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে, যেখানে ফসল করার জায়গা আছে, সেখানে ফসল উৎপাদন করতে হবে, বাহির থেকে খাদ্য আমদানি নির্ভর কমাতে হবে। দেশের ২৫ জেলায় নির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান, জননেত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন,, তিনি বলেন আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য আমরা ২০২১ যে ভিষণ ঘোষণা দিয়েছিলাম,তারই একটি অংশ ১০০টি সেতু একদিনে একসাথে উদ্বোধন। ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম বলেই আজ এটা সম্ভব হয়েছে, আমরা সারা বাংলাদেশকে নেটওয়ার্কিং আওতায় এনে দিয়েছি, বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি,,যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি,আমরা চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর করে দিয়েছি,কক্সবাজারে বিমানবন্দর করার ঘোষণা দিয়েছিলাম,সেটাও বাস্তবায়ন করেছি, শীঘ্রই কাজ সমাপ্ত করে ✈ বিমান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে, মানুষ খুব সহজেই যে কোনো প্রয়োজনে কক্সবাজার যাওয়া আসা করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন বর্তমানে ডেংগু সমস্যা বেড়ে গেছে, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হয়ে চলতে হবে, বাসার আশেপাশে কোথাও যেনো পানি জমে না থাকে, সবাইকে মশারী ব্যবহার করতে হবে, এবিষয়ে সরকারের যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিব, আমাদের ওপর ভরসা রাখুন।এদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন,আমরা সেই স্বপ্নকে পূরণ করবো ইনশাআল্লাহ, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সড়কপরিবহন সচিব সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন, এবং সেতুগুলোর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ৮৭৯কোটি ৬২লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়। সেতুগুলোর মধ্যে সিলেট বিভাগে ১৭টি,ময়মনসিংহ বিভাগে ৬টি,রাজশাহীতে ৫টি,রংপুরে ৫টি,গোপালগঞ্জে ৫টি,বরিশালে ১৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি,ঢাকায়২টি,কুমিল্লায়১টি মোট ১০০টি সেতুর উদ্বোধন কাজ সম্পুর্ন হয়