আব্দুর রউফ ভূঁইয়া: ব্যুরো প্রধান কিশোরগঞ্জ।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানা পুলিশের এক বিশেষ টিম মঙ্গলবার ২৩ মে সকাল ০৮.১৫ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানাধীন খনারচর সাকিনস্থ জজ মিয়ার বসত বাড়ির সামনে সরারচর বাজার থেকে বানীগাঁওগামী পাকা রাস্তা হতে মোঃ মানিক ভূইয়া (৬০), পিতা- মৃত আঃ বারিক ভূইয়া, সাং- কামালিয়াকান্দি, এবং জনৈক আফিয়া খাতুন (৫০), স্বামী- রাশিদ মিয়া, সাং- পশ্চিম তারাকান্দি, উভয় থানা- কুলিয়ারচর, জেলা- কিশোরগঞ্জদ্বয়ের চুরি যাওয়া একটি কালো রংয়ের দেশী জাতের গাভী গরু, একটি সাদা-কালো রংয়ের বকনা বাছুর, একটি লাল রংয়ের ক্রস জাতের বকনা বাছুর, একটি কাজলা রংয়ের গাভী গরু, একটি লাল রংয়ের ক্রস জাতের ষাড় গরু এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি TATA ACE EX2 পিক-আপ গাড়ী, একটি দুই হাতল বিশিষ্ট লোহার কাটার, একটি দা ও একটি SYMPHONY L43 মোবাইল ফোনসহ গরু চুরির মুল হোতা এবং গরু চুরি মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী ১। মোঃ জহির উদ্দনি (৩৫), পিতা- মোঃ শহীদুল্লাহ ওরফে আঃ রশদি, সাং- হোসেন্দী, থানা- পাকুন্দিয়া, জেলা- কিশোরগঞ্জকে গ্রেফতার করেছে।
গত ২১ মে রবিবার দিবাগত রাত্র অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় মোঃ মানিক ভূইয়া (৬০) এবং আফিয়া খাতুন (৫০)দ্বয় নিজ নিজ গোয়ালঘরে উপরে বর্ণিত গরুগুলো রেখে নিজ নিজ বসতঘরে ঘুমিয়ে যান। গত ২২ মে সোমবার রাত অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের গোয়ালঘরে উপরে বর্ণিত গরুগুলি নেই। তাদের ধারনা ২১ মে রবিবার রাত্র অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ২২ মে মঙ্গলবার রাত্র অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় তাদের উল্লেখিত পাঁচটি গরু চুরি হয়ে যায়।
এ ঘটনায় মোঃ মানিক ভূইয়া (৬০) বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি চুরি মামলা (মামলা নং- ১৪, তারিখ- ২৩-০৫-২০২৩ খ্রি:, ধারা- 457/380 The Penal Code-1860) দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার) এর নির্দেশে ঘটনার পর পরই কুলিয়ারচর থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে জহির উদ্দিন কে ০৫ টি গরু সহ গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যম কে জানান গ্রেফতারকৃত আসামি অত্র মামলার সংঘটিত ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।