স্বপ্নচরে হোক আশাদের হাতছানি । ফুলের উদ্যানে ফুটোক নবজাগরণ । উল্লাসিত ঝিলিক পড়ুক নতুন শস্যক্ষেত্রে । আবর্জনার স্তুপ ঝেড়ে নিপুণ জমিন চাষ হোক আশাময় আহবানে । সুচিন্তিত আগামীর আলোরা প্রেরণা দান করুক সমস্ত পৃথিবীর বাঁকে ।আর্তনাদের ক্ষতগুলো মুছে, মিলিত কোরাসে উঠুক রোদের সকাল । অসংখ্য কান্নারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলুক । সুখময় আবেশে আলোর ফোয়ারায় হাসুক বিপুলা সৃষ্টিজগৎ । সৃজনশীল আবেদনে একটি প্রস্ফুটিত মানদণ্ড আসুক এই সময়ে, সবার চোখে শান্তির পরশ নিয়ে । নবভাবনা প্রচার এবং প্রসারের মেলায় ।
একটি যুদ্ধ হোক ঠিক মননের । নবাগত পাখিদল অনায়াসে ছোটুক দিগন্তরেখায় । শুভ্রতার সুখের গ্রাম নগরে ছাপ পড়ুক অভ্যর্থনার ।কিছু উচ্চারণ বিশালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাক বিস্তীর্ণ অঞ্চল । আমাদের ঘর,দুয়ার তথা হাওরের বুক চিরে আসুক জলের গান । রুপালী আয়নার প্রতিচ্ছবি হাতছানি দিক আশাদের নীড়ে । অনুপম শক্তির উচ্ছ্বাস ছড়াক এই দেশে । ছায়াময় হাটে ।
তরুন নিজেকে জাগাও । বাঁচাও দেশ । সুস্থসবল শিল্পায়ন গড়ে রচনা করো জীবনের মান । বহুমাত্রিক সভ্যতায় ছন্ধেরা উদ্ভাসিত হোক প্রচ্ছন্ন জীবনের অভিসিক্ত পথে ।
সীমাহীন স্বস্তির নিঃশ্বাসে আসুক তৃপ্তির স্বাদ। সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা প্রবল হোক। অগ্রণী ভুমিকায় অবতীর্ণ হোক সভ্যতার অভিভাবক, আগামীর তরুন। বিকশিত হোক প্রত্যশার আলোয়। সুশিক্ষার স্বপ্নমায়া ছড়িয়ে প্রাসাদ তৈরী হোক সমৃদ্ধির স্মারকে।
প্রসারিত এ হাতকে যারা সহযোগীতা করছেন তাদের অসংখ্য ভালোবাসা। কৃতাঞ্জলি জানাই আমাদের অভিভাবক, যারা পাশে থেকে সদা তৎপর দেখান জীবন্ত পথের । যাবতীয় কর্মকাকপণ্ডের ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি পড়ুক। সুরক্ষিত থাকুক আমাদের অঙ্গন। শত সহস্র গ্লানি আর অন্যায় অবিচারের মধ্য দিয়ে ওঠে আসা আজকের তরুনদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আচরণ, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ,সংস্কৃতি এবং রাজনীতির জাগরণ আসুক কল্যাণে।
কাদামাটি ডিঙিয়ে আসা, অনিচ্ছুক দরিদ্রতার কষাঘাতময় সাংসারিক অন্তরায় সরিয়ে আমরা আসি প্রাতিষ্ঠানিক এই নগরে।
ভাবনার আলোয় সৃজনশীল ইচ্ছেরা খুঁজে নিক ভবিষ্যৎ জীবনের উপমা। শূন্যতা কাটিয়ে তৈরী হোক স্মৃতিকথার সবুজ সুন্দর স্মারক।কলুষিত সমাজের কালো দাগগুলো সরাতে আসুন করি প্রজ্ঞাপন জারি। বিকল্প ভাবনায় আমরা গড়ে তুলি সুন্দর আবেগের ফসল। স্বার্থক যাত্রাপথে প্রতিনিয়ত উচ্চারণ হোক “শেকড়ে শুনি বাঁধ ভাঙার আওয়াজ ”
কাদামাটি দিয়েই শুরু গ্রামের জীবন। সবুজ অঙ্গন উর্বর ক্ষেত্রফল যেনো সমষ্টিগত হিসেব। সৌন্দর্যের মেলবন্ধন এক অভিনব নির্মাণ। সহস্র ক্লান্তি আর হতাশার কষ্ট কিঞ্চিৎ নাড়াও দেয়না মেঠোপথের সহযাত্রীদের।
অগ্নিস্ফুলিঙ্গেই হাটেন তাঁরা। উদার জমিন চাষে বেড়ায় যে কৃষক, তাঁরাই আমাদের আপন, তাঁরাই পড়শি। যেখানে মমতার শেকড় ছুঁয়ে দেয় দারুণ উচ্ছ্বাস। অংকুরিত হয় দক্ষতার বাহুবল। এখানকার অফুরান প্রানের উৎসব -মনের রঙিন দুপুর চোখে জমা করে আলো।এখানের মানুষের আশাময় চোখ যেনো সুবিস্তৃত ভাবনার রঙচঙে ঘর সাজায়। স্বপ্ন জোছনা ছড়ায় মনের দেয়ালে। ফসলের আবহে গড়ে রহস্য সুন্দর । এখানেই শুরু এবং শেষের সুখ আনন্দ । জমাট বাধা আশা নিয়েই ঝাপিয়ে পড়ে দিগন্তরে। বড় হওয়ার মই খোঁজে। কালের বিদ্যাপিঠে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বসিত তারুণ্য। গড়ার জবানবন্দিতে প্রহর গুনে ইমারত তৈরির। পত্র পল্লবে সমাদৃত যাদের জীবন। বাসনার রংবেরঙের পাহাড় ডিঙিয়ে যারা আগুয়ান আগামীর অন্বেষায়। তাঁরাই আমাদের স্বপ্নের । তাঁরাই শেকড় বৃক্ষ। আমাদের অবিভাবক।হাওরাঞ্চলের মানুষজন অফুরান প্রানের সঞ্চয়ে গড়েন বিশ্বাস। আশালোকে খোঁজে অনন্য আলো। শত দর্শন পরিপূর্ণতা এনে দেয় দারুণ সমীক্ষায়। খাল-বিল, নদ- নদী যেখানে হিরন্ময় স্রোতের প্রবাহিত রুপ, সেখানে ক্ষতবিক্ষত শরীর স্বাস্থ্য মন ভালো তৈরীতে দিন পাড় করে। হিংসাত্মক নৈরাজ্য সৃষ্টি যারা ধারনাই করেনা। বরং সম্প্রীতির আলিঙ্গনে জোট গড়েন যাপিত জীবনে। সুবিস্তৃত ভাবনার স্মারক খুঁজেন জনম জনম। প্রতিভাবান যত আলোকিত সন্তান তাঁরা গ্রাম থেকেই উঠে আসা সৈনিক। তাঁরা যুদ্ধ করতে জানে।সভ্যতার সৌখিন যাত্রাপথে তাঁরাই সুউচ্চ পাহাড় ডিঙায়। পদবিন্যাসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ তাঁরাই করেন অলংকৃত । করেন সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ। অফুরন্ত ইচ্ছেশক্তি তাদের নিয়ে যায় ভাবনার রঙচঙে। ছায়া মায়াময় পথে বিচরণ করে গড়েন সৃষ্টির মহাশক্তি। স্বপ্নের রোদ্দুর ছড়িয়ে দেয় মননের আয়নার ফ্রেম।আমাদের গ্রামগুলো ঐতিহ্য নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে। এখানে আছে সহস্র বছরে ইতিহাস। শহোরের পাশাপাশি সমান তালে গ্রাম উন্নয়ন দরকার।
শাসকের সুনজর থাকুক আমাদের কামনা। মুখ ফিরাতে হবে আমাদের সকলকে যে যার অবস্থান থেকে।
ভবিষ্যত রাষ্ট্র বিনির্মানে কার্যকরী পদক্ষেপে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দেওয়া সময়ের দাবি।
লেখক, শফিকুল ইসলাম সোহাগ