ধর্মপাশা( সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি/
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের গাছতলার বাজারের ব্যবস্যায়ি সৈকত (৩০) পিতা মৃত আবুল কালাম, এর উপর মিথ্যা বানোয়াট হয়রানি মূলক মামলা প্রথ্যাহার ও মুক্তির প্রতিবাদে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত কিছু দিন আগে পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বহিরাগত ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের ৭০ টি জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। এটি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ অলিদুজ্জামান তদন্ত করে প্রমান পেয়েছেন।
ধর্মপাশা উপজেলা পাইকুরাটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল, বাদী হয়ে গত ০৩-১০-২০২৩ ইং তারিখে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং -০২/৬৩, )। এই মামলার সূত্র ধরেই পাইকরাটি ইউনিয়নের সর্বস্তরে মানুষ সৈকতের পক্ষে তার মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার দুপুরে গাছতলা বাজারে এই মানববন্ধন পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোছাঃ রহিমা বেগম, মোঃ মাসুদ রানা, ৪নং ওয়াডের আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান আতিক, মোঃ আমিনুল হক নয়ন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন মোজাম্মেল হক ইকবাল চেয়ারম্যান, সৈকতের উপর যে মামলাটি দিয়েছে সে মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট, সৈকত ছেলেটি গরিব অসহায় পরিবারের সন্তান , ইকবাল চেয়ারম্যান একজন দুর্নীতিবাজ সে মানুষকে হয়রানি করে। তার নিজের এবং পরিষদের দোষ ঢাকার জন্য এই অসহায় ছেলেটিকে ফাঁসানো হয়েছে।
শুধু তাই নয় সে মানুষকে বিপদে ফেলার তার একমাত্র কাজ, বক্তারা আরও বলেন সৈকত একজন ভালো ব্যক্তি সে কখনো এই কাজ করতে পারে না। সে একজন অসহায় পরিবারের সন্তান দিন আনে দিন খায় , সে মানুষের কখনো ক্ষতি করে নাই, তাই আমরা প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিজামপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে নারী-পুরুষ আমরা সর্বস্তরের জনগণ সৈকতের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে পাইকুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবালের কাছে জানতে চাইলে , তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ঢাকাতে ছিলাম। ঢাকা থেকে পরিষদে এসে জানতে পারি সৈকত এবং ঋতুর ফোন আলাপনের রেকর্ডের কথা শুনে আমি মামলা দায়ের করি । এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঋতু ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা তিনি স্বীকার করেন ।
ধর্মপাশা কর্তব্যরত এস আই মোঃ সবুর এর সঙ্গে মুঠো ফোন কথা বলে জানা যায় তদন্ত প্রক্রিয়া দিন রয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।