মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ময়মনসিংহ।
বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় একতরফা ভোট ঠেকাতে ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ নিজেরাই’ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ।
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো নির্দলীয়ই হতো। সিটি করপোরেশন আইন সংশোধনের মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে ভোট করার বিধান যুক্ত হয়।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত মেয়র পদে প্রার্থী আছেন ছয়জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের চার নেতা। তাঁরা হলেন বর্তমান মেয়র ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা মো. সাদেকুল হক খান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ফারামার্জ আল নূর।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম ফেরদৌসও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন। এখানে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। দলের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে মো. রেজাউল হক নামে আরও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
দলীয় সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় জেলা ও মহানগরের নেতা-কর্মীরা বিভিক্ত হয়ে পড়ছেন। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল মহানগরের সভাপতি ইকরামুল হকের পক্ষে রয়েছেন। অন্যদিকে আরেক প্রার্থী এহতেশামুল আলমের পক্ষে আছেন জেলা কমিটির সদস্য কাজী আজাদ জাহান। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও এই বিভক্তি চোখে পড়ে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহ্তেশামুল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভিক্ত হবেই। তবে এটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত মেনেই তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে নির্বাচনের পর হয়তো কেন্দ্র থেকে বিভক্তি নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দলীয় সূত্র বলছে, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে স্থানীয় আওয়ামী লীগে বিভক্তি তৈরি হয়েছিল। এখন সিটি নির্বাচন সামনে রেখে তা আবার প্রকাশ্যে এসেছে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী আজাদ জাহান সিএনএন বাংলা২৪ কে বলেন, ‘হয়তো সিটি নির্বাচনের পর দলের কেন্দ্রীয় নেতারাই সবাইকে ডেকে বিভক্তি ভুলিয়ে দেবেন।’
অন্য কোথাও বিএনপির প্রার্থী হলেও ময়মনসিংহে দলটির সাবেক বা বর্তমান কোনো নেতা প্রার্থী হননি। ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হান্নান খান বলেন, সাজানো নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে আসছে। তাঁদের মনোযোগ সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে।
Post Views: 20
Like this:
Like Loading...
Related