গতকাল বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে যে, “আসন্ন সংসদ নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে করতে হলে তিন দিনের মধ্যে তা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাতে হবে”।
নির্দেশনায় বলা হয়, তপশিল ঘোষণার দিন, অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর থেকে তিন দিন গণনা করা হবে। এই হিসাবে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধিত কোনো একটি দলের প্রতীকে অন্য দলের কেউ প্রার্থী হতে চাইলে দলীয় প্রধানকে চিঠি দিয়ে ইসিকে তা জানাতে হবে। ইসির পৃথক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এবার ভোটারপ্রতি একজন প্রার্থী সর্বাধিক ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। তবে এই ব্যয় ২৫ লাখ টাকার ওপরে যাবে না।
ভোট গ্রহণের তিন থেকে চার দিন আগে ব্যালট পেপার জেলা পর্যায়ে পাঠানো হবে। আর প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যালট পেপার ছাপানো শুরু হবে। তবে ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে কখন পাঠানো হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম গতকাল সাংবাদিকদের জানান ।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তপশিল ঘোষণার পর জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ কয়েকজন এবং তাদের অধস্তনদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন লাগবে। তপশিলের আগে যদি বদলি বা পদোন্নতি করা হয়ে থাকে, সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
এক প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম জানান, স্থানীয় সরকারের মেয়র কার কাছে পদত্যাগ করবেন, সেটা আইনে বলা আছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধিতে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার নিয়ে বিস্তারিত বলা আছে। মন্ত্রী-এমপিদের প্রটেকশন হলো নিরাপত্তা, আর প্রটোকল হলো যিনি যে পদে যাবেন, সে পদ অনুযায়ী তিনি যতটুকু সম্মান পাবেন সেটা।’