গাইবান্ধা জেলা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্ধ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সাথে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে হযরত আলী আমন ধান চাষ করে আদালতে মামলার রায় পেয়ে ২০১৬ সালের ১২ ই নভেম্বর আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যায়। ধান কাটার বিষয়টি আগেভাগে জানতে পেরে হযরত আলী গোপনে জমির পার্শ্ববর্তী রাইস মিল থেকে বিদ্যুতের তার পেতে সম্পূর্ণ জমি ঘিরে রাখে। ঐদিন সকালে জলিলের আত্মীয়তসলিম উদ্দিন নারী পুরুষ শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে ধান কাটতে নামলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় । পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার চাচাতো বোন মর্জিনা খাতুলো বিদ্যুৎপৃষ্ট এতে ঘটরস্থলে দুজনের মৃত্যু হয় এ ঘটনায় নিহত তসলিম উদ্দিনের বাবা মফিজুল হক বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় ঐদিন রাত্রে ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা গায়ের করে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাঁকে তিনজন আসামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের এই রায় ঘোষণা করেন । প্রায় ঘোষণার পর হইতে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হাফিজা রহমান পিতা মৃত আবুল হোসেন সাং পূর্ব জিনি থানা সুন্দরগঞ্জ জেলা গাইবান্ধা পলাতক অবস্থায় ছিলেন র্যাব -১৩ র গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে আসামি হাফিজুর রহমান (৩৯) কে খোঁজার কার্যক্রম চালু রেখেছিল। পরবর্তী আসামিকে আত্ম গোপনে থাকা অবস্থায় র্যাব-১৩ ও র্যাব -১১ এর যৌথ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ইছাপুর বর্ষা বাজার এলাকা হইতে অদ্য ০১/০২/২০২৪ তারিখ রাত ২৩:০০ ঘটিকায় গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে আত্মগোপন করিয়া বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করত। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যা মামলার মৃত্যু দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ওয়ারেন্টভূক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট সুন্দরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।