মাগুরার শ্রীপুরে দেবরের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দেবর আখেরুজ্জানের বিরুদ্ধে ভাবি নাজমা বেগম (২৮) কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় সাবলের আঘাতে তার হাতের আঙুল কাঁটার পাশাপাশি হাত ও মাজার হাড় ভেঙে যায়। গত (৯ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মহেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই গৃহবধূ কয়েকদিন ধরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাতরাচ্ছে। সে উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের প্রবাসী রইচ উদ্দিন মৃধার স্ত্রী।
আহত নাজমা বেগম জানান, আমার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী হওয়ায় অনেক দিন ধরেই আমার ছোট দেবর সেনা সদস্য আখেরুজ্জামান আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি রাজি না হওয়াই বিভিন্ন সময় আমার স্বামী ও আমার পরিবারের উপর বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক কথা বলে। আমার এবং আমার স্বামীকেও এর আগে বেশ কয়েকবার মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
আহত নাজমা বেগমের মেয়ে বৃষ্টি জানান, দাদার সাথে আব্বু ভিডিও কলে কথা বলতে চাইলে দাদার কাছে আমি ফোন ধরিয়ে দেওয়ার সময় অতর্কিত ভাবে আমার কাকু আখেরুজ্জামান আমার আম্মুর উপর মারধর শুরু করে। আমার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। আমাকেও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয় ।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেনা সদস্য আখেরুজ্জামান কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে তার পিতা তৈয়ব মৃধা কথা-কাঁটাকাটির বিষয় জানলেও মারধরের ঘটনা জানেন না বলে জানান। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নাজমা বেগম।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ওসি তদন্ত গৌতম কুমার জানান, এ বিষয়ে ওই ভুক্তভোগী কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।