আহসান হাবীব নাহিদ ,সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের আলোচিত শারীরিক প্রতিবন্ধী অটো চালাক রাসেল শেখ (৩৩) কে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি লিমন সর্দার কে গ্রেফতার করেছে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ।
১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত্রি ৮টা ৩০মিনিটে সাদুল্লাপুর থানায় সাংবাদিকদের থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক তাঁর কার্যালয়ে জানান সম্প্রতি উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শারীরিক প্রতিবন্ধী অটো চালোক রাসেল শেখকে হত্যা করে আসামি লিমন সর্দার আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাতে থাকে।
অবশেষে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন এঁর দিকনির্দেশনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান চালিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে আসামি লিমন সর্দারকে ১৭ই এপ্রিল গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরে তাকে আইনি প্রকৃয়া সম্পূর্ণ করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এসময় আসামী লিমন সর্দার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা শিকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের মোজাহিদপুর পাপুলের চায়ের দোকানে রাসেল শেখ চা খাওয়ার জন্য গিয়ে আসামী লিমন সর্দারের সঙ্গে অটো ভাড়ার টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসমী লিমন সর্দার চায়ের দোকানে থাকা কাঠের বাটাম দিয়ে রাসেল শেখ এর শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করায় রাসেল শেখের নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে। রক্তাক্ত জখম হয়ে রাসেল শেখ নাক টিপে ধরে বাড়িতে যায়। তার স্ত্রী রোজিনা বেগম দেখে জিজ্ঞেস করায় রাসেল শেখ তার স্ত্রীকে ঘটনর বিবরণ খুলে বলেন। স্ত্রী রোজিনা বেগম স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ফারুক মিয়াকে ডেকে আনেন ফারুক মিয়া রাসেল শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত হাসপাতলে নিতে বলে চলে জান।
স্বামীর অবস্থা বেগতিক দেখে স্ত্রী রোজিনা বেগম আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এরই একপর্যায়ে হটাৎ মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন রাসেল শেখ।
মৃত্যুর খবর পেয়ে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে মরদেহ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।