কাসেম আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি;
মাগুরার ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে মোবাইল মেরামত এর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি।বাসায় না ফেরায় আসায় তার পরিবার মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।বিষয়টি ক্লুলেস হওয়ায় মাগুরা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মো: মশিউদ্দেৌলা রেজা, পিপিএম (বার) মেয়েকে উদ্ধার এবং প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য মাগুরা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলকে দায়িত্ব প্রদান করেন। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েকে এবং আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করে মাগুরা সদর থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ঢাকার ডেমরা এবং যাত্রাবাড়ি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শনিবার ৪ মে, ২০২৪ খ্রি: ভোর ০৪.৪৫ ঘটিকায় ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ি ১২৯/২ নাম্বার বাড়ির ৫ম তলা হতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং আসামীদের গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় আসামী ডালিয়া ইসলাম শান্তা (২০) পিতা- আব্দুর রাজ্জাক শেখ, জেলা- গোপালগঞ্জ এর সাথে মেয়েটির ০৭ মাস পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামী ডালিয়া ইসলাম শান্তা মেয়েটিকে মাদকাসক্ত ও সমকামিতা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে বুধবার ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি: সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ মিনিটে আসামী ডালিয়া ইসলাম শান্তা ঢাকা থেকে মাগুরা এসে মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে,কৌশলে মাগুরা বাস টার্মিনালে নিয়ে সেখান থেকে একটি যাত্রীবাহি বাসে ঢাকায় নিয়ে যায়। প্রথমে ডেমরা থানা এলাকায় অপর আসামী রেখা খাতুন (৩৬) পিতা-আব্দুর রাজ্জাক শেখ এবং আসামী হারুন শেখ (৩৮), পিতা-মৃত ইয়ার আলী শেখ, উভয় জেলা-গোপালগঞ্জদের ভাড়া বাসায় রাখে। একসপ্তাহ পূর্বে আসামীরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে যাত্রাবড়ি থানা এলাকায় নতুন বাসা ভাড়া করে মেয়েটিকে নিয়ে আসে । তদন্তে জানা যায় আসামী মোঃ হারুন শেখ, পিতা-মৃত ইয়ার আলী শেখ, জেলা-গোপালগঞ্জের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিসহ মোট ০৯ টি মামলা রয়েছে এবং গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানায় তার বিরুদ্ধে ০৬ টি ওয়ারেন্ট মূলতবি রয়েছে। উক্ত ঘটনায় মেয়েটির পরিবার বাদী হয়ে ৪ মে, ২০২৪ খ্রি: মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নাম্বার ১২। পরে আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয় ।