কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল লিওনেল মেসির দল আর্জেন্টিনা। গত ম্যাচে হারার পরে এবারের বিশ্বকাপে টিকে থাকা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন আর্জেন্টিনা দল সহ বিশ্ব ফুটবল প্রেমিক সমর্থকরা। বিশ্বকাপের হট ফেভারিট দল আর্জেন্টিনার দলকে বাঁচাতে, স্বপ্নটাকে জিইয়ে রাখতে এগিয়ে এলেন লিওনেল মেসি। জাদুকরী এক মুহূর্তে দেখালেন পথ। কাতার বিশ্বকাপে বাঁচা -মরার লড়াইয়ে মেক্সিকোর বিপক্ষে ৬৪ মিনিটে লিওনেল মেসির ডি বক্স থেকে লম্বা শটে যাদুকরী গোলে এগিয়ে নিয়ে যায় আর্জেন্টিনা দল কে। পরে ম্যাচের শেষদিকে মেসির পাস থেকেই দারুণ আরও একটা গোল করলেন এনজো ফার্নান্দেস।
লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচটা আর্জেন্টিনা জিতল শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে। যে জয় আর্জেন্টিনা ও মেসিকে টিকিয়ে রাখল বিশ্বকাপেও। পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটা জিতলেই এখন পরের রাউন্ড নিশ্চিত আর্জেন্টিনার। সুযোগ থাকবে ওই ম্যাচটা ড্র করলেও।
লুসাইল স্টেডিয়ামে প্রায় ৮৯ হাজার দর্শকের সামনে শনিবার রাতে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে লিওনেল স্কালোনির দল। দারুণ এক গোল করার পাশাপাশি এনসো ফের্নান্দেসের গোলেও অবদান রাখেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারের ম্যাচের একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন আনেন কোচ স্কালোনি। কিন্তু খেলোয়াড়দের মনে তৈরি হওয়া ভয়টাকে হয়তো পারেননি তাড়াতে। অন্তত তাদের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স সেদিকেই ইঙ্গিত করে।মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমেই বিশ্বকাপের আর্জেন্টাইন হিসেবে সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়ে ফেলেন মেসি।এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা।গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামলেই আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২২ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে গড়বেন মেসি।