আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-২ (নেত্রকোনা সদর-বারহট্টা) আসনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক উপমন্ত্রীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আসনটিতে নিরব ভূমিকা পালন করছে বকি ৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।
নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকী রয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রচারণার চাপে বাকি ৫ প্রার্থীর দেখা পাচ্ছেন না সাধারণ ভোটাররা।
এই আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রতীক নিয়ে বর্তমান সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও তার সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী (ঈগল) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। নির্বাচনী মাঠের লড়াইয়ে ভোটারদের কাছে একেকদিন একেকজন এগিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখাগেছে, সাধারণ ভোটারদের মুখে মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের আলোচনা বেশি থাকলেও দলীয়ভাবে নৌকার প্রার্থীকে এগিয়ে রাখছে নেতা-কর্মীরা। দুই প্রার্থীই একদলের হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা দুইটি অংশে বিভক্ত হয়েগেছে এরমধ্যে একাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয়ের পক্ষে সক্রিয় ভাবে গণসংযোগ করছে অপরদিকে বাকি নেতা-কর্মীদের একাংশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশরাফ আলী খান খসরুর পক্ষে সক্রিয় ভাবে গণসংযোগ করছে। প্রতিদিন দুই প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি মিছিলের মধ্য দিয়ে জানান দিচ্ছে কেউ কারও থেকে পিছিয়ে নেই। ফলে এই দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাঝে নির্বাচনী মাঠে অন্য ৫ প্রাথীর দেখা মিলছে না।
জেলা নির্বাচন অফিসারের সূত্রে জানাযায়, নেত্রকোনা-২ (নেত্রকোনা সদর-বারহাট্টা) মোট ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯১৭ জন ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে নেত্রকোনায় ৩ লক্ষ ১০ হাজার ১৬৭ ও বারহাট্টায় ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৫০ জন। আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৭জন প্রার্থী।
তাদের মধ্যে আজহারুল ইসলাম খান কে (ডাব) প্রতীকের প্রার্থী হিসাবে বারহাট্টা বাসী চেনেন না। বি এন এম এর (নোঙ্গর) প্রতীকের প্রার্থী এ বি এম রফিকুল ইসলাম প্রথম কয়েকদিন মাইকে প্রচারণা চালালেও মাঠে তাহার দেখা মিলছে না। অপরদিকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী (নাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে মোছাঃ রহিমা আক্তার এখন পর্যন্ত মাঠে আসেনি। এমন কি গ্রামাঞ্চলে উনার কোন পোষ্টার হ্যান্ডবিলও নেই। বারহাট্টা উপজেলার আরেক প্রার্থী মোঃ ইলিয়াস, (মিনার) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। বারহাট্টার প্রধান সড়কের পাশে, কিছু পোস্টার থাকলেও গ্রামাঞ্চলে কোন পোস্টার এবং হ্যান্ডবিল নেই। বারহাট্টার আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত চন্দ্র সরকার (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে নিরবে ভুমিকায় আছেন। এখন পর্যন্ত তার কোন কর্মী সমর্থক পাওয়া যায় নি। বারহাট্টা গোপালপুর গরুর বাজারের পাশে ট্রাক মার্কার একটি অফিস থাকলেও তাতে কোন জনসমাগম নেই। তবে এখন পর্যন্ত বারহাট্টা উপজেলায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবাই শান্তিপ্রিয়ভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে।
ইতোমধ্যে বারহাট্টা উপজেলা অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের সেনা ক্যাম্প স্থাপন করেছে। অপরদিকে বারহাট্টা সরকারি কলেজে বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন করেছে। নির্বাচন শান্তিপ্রিয় করতে বারহাট্টা থানা পুলিশও সবসময় তৎপর থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।