ক্যাসপার্সকির একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোর থেকে ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটিরও বেশি ক্ষতিকারক অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। সম্পতি গুগল স্মার্টফোনের ৩ অ্যাপে ভয়ংকর ম্যালওয়্যারের খোঁজ পেয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের মতো একটি প্ল্যাটফর্মের জন্য বিষয়টি সত্যিই বিপজ্জনক। তার কারণ বিশ্বের কোটি কোটি ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করেন।
অ্যান্ড্রয়েডের এই ম্যালওয়্যার সমস্যা নতুন কিছু নয়। এর আগেও আইরেকর্ডারের মতো অ্যাপ আক্রমণকারীদের দক্ষতার নিদর্শন দেখিয়েছে। সেই সময়ই দেখা গিয়েছিল, গুগলের অ্যাপ স্টোর সিকিওরিটি স্ক্যানগুলো বাইপাস করতে পারে এই অ্যাপটি।
এই অ্যাপগুলোর বেশিরভাগই চুপিসাড়ে স্ক্যানিংয়ের জন্য প্লে স্টোরে প্রবেশ করে। পরবর্তী আপডেটগুলো আসার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাপগুলো ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হয়। সেখান থেকেই বিপজ্জনক পরিস্থিতির সূত্রপাত। ম্যালওয়্যার সংক্রামিত সেই অ্যাপগুলোই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।
এছাড়া স্লিমিং ফটো এডিটর, ফটো ইফেক্ট এডিটর এবং জিআইএফ ক্যামেরা এডিটর প্রো-এর মতো অ্যাপগুলোও আক্রমণকারীদের দেখায় যে, আজকাল ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনে কী ব্যবহার করেন এবং কী ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। ব্যবহারকারীদের সেই পছন্দকে কাজে লাগিয়েই তাদের স্মার্টফোন ম্যালওয়্যার দিয়ে সংক্রামিত করে প্রতারকরা। দেখে ইন আপনার ফোনে এই অ্যাপগুলো আছে কি না। তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা মুছে ফেলুন।