মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কিসমত এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ৩১ মে ২০২৩ তারিখে অভিযান পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি )এইচ এম ইবনে মিজান।
সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) ইবনে মিজান বলেন,অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক খবর দেখা যায়। অবৈধ বালু উত্তোলন ক্ষতিকর-এ ব্যাপারে মোটামুটি সবাই একমত। কিন্তু তা কতটা ক্ষতিকর বা এর প্রভাব আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে কতটা পড়ছে, তা নিয়ে আরও গুরুতর ভাবনা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী সম্পদ আহরণের ফলে পরিবেশের ওপর উল্লেখযোগ্য ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। তবে কয়লা বা সোনা উত্তোলনের চেয়ে বালু উত্তোলনের নেতিবাচক প্রভাব তুলনামূলক কম। উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশেই বালু উত্তোলন হয়। বিভিন্ন উৎস থেকে বালু উত্তোলনের ইতিবাচক দিকও রয়েছে। দারিদ্র্যবিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভিদ ও প্রাণীর নতুন আবাস ও নতুন জলাধার সৃষ্টিতে এর অবদান রয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনাহীন যত্রতত্র বালু উত্তোলন পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এসব কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করা হলেও এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থে পরিচালিত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানান এসময়ে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি তবে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত বালু সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে বিধি অনুযায়ী প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ময়মনসিংহে অবৈধ বালু উত্তোলনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন রয়েছে বলে বহু অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেক জায়গায় এর সত্যতাও রয়েছে। অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু আবার জলাশয় অপদখলের অন্যতম পদ্ধতি। এসব বালু দিয়েই দখলের আগে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জলাশয় ভরাট করে থাকেন।