নতুন স্কেলে বেতনের দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও তারগাছ এলাকায় কয়েকশ পোশাক শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন।ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় মেইগো বাংলাদেশ [বে-ইকোনমিক জোন ] লি. এর শ্রমিকরা ৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা ,টাঙ্গাইল, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে আনুমানিক ৭ টার দিকে গাজীপুরে কর্মরত পোশাক শ্রমিক কর্মচারীরা
ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে তাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন,
এবং ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক পুরোদমে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়,
স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায় ,গাজীপুর কোনাবাড়ি মেইগো বাংলাদেশ [বে-ইকোনমিক জোন] লি. এর প্রায় 700 -800 শ্রমিক ৬ দফা দাবি আদায়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
কর্মরত মেইগো বাংলাদেশ [বে-ইকোনমিক জোন ] লি. এর কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় .সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো অনুসারে আমাদের গ্রেড ১ থেকে গ্রেড ৪ মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। তফসিল ক এবং তফসিল খ অনুযায়ী বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। ১০ ঘণ্টা কর্মদিবসের পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হিসেবে বেতন নির্ধারণ করতে হবে। বেসিক বেতন সরকারি নিয়ম অনুসারে করতে হবে। ওভারটাইমের হার সরকারি নিয়ম অনুসারে হিসাব করতে হবে এবং অধিকার আদায়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছাঁটাই করা যাবে না।
অন্যদিকে ওই পোষাক কারখানার কর্মরত এক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন,
পোশাক শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু তাতে তাদের মনমতো হয়নি তাদের দাবি আরো বেতন ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে,
এই কর্মকর্তা আরো বলেন শ্রমিকদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে,
অন্যদিকে দেশবাংলা প্রতিদিনের প্রতিনিধিকে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং গাজীপুর জেলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। সেই ধারাবাহিকতা আজও তারা আন্দোলন করছে।
এদিকে কোনাবাড়ি সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে গাজীপুর জেলার গাছা থানাধীন এলাকার মুনলাইট গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আনুমানিক সকাল আটটার দিকে রাস্তা অবরোধ করেন, এ বিষয়ে গাছা থানার পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বিষয়টি দেখছেন
মুনলাইট গার্মেন্টস লিমিটেড ও এহসান গার্মেন্টসের কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় পুরাতন শ্রমিকদের নতুন ১ নং ও ২ নং গ্রেডে বেতন ধরেনি। আমাদের ৩ নং ও ৪ নং গ্রেডের শ্রমিক হিসেবে দেখানো হয়েছে। যাতে কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কম বেতন দিতে পারে। আমাদের সিনিয়র অপারেটরকে জুনিয়র অপারেটর দেখানো হয়েছে