মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ময়মনসিংহ।
জনপ্রিয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর প্রধান সম্পাদক ও নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিকের জন্মদিন আজ ৭ মে । তার দৃষ্টি অন্তর্ভেদী, সেই দেখাই তার লেখাকে দিয়েছে বাড়তি সমীহ। তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বৃত্তে সমাজের বিশিষ্টরা। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্ক তার সাংবাদিক সত্তাকে কখনো আচ্ছন্ন করে না। সদা হাস্যোজ্জ্বল হিসেবে নিজেকে সহজ করে সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করেন নাগরিক খায়রুল আলম রফিক।
সদা ব্যস্ত থাকেন শিখর চূড়ায় তার লেখালিখি নিয়ে। নিতান্ত মামুলি রিপোর্টারা দৌড়ে বেড়ান নিজেদের অ্যাসাইনমেন্টে। কিন্তু সেই ফাঁকটা ভরাট করে কাছে আসার রাস্তাটা খুলে দিয়েছেন তিনি নিজেই। তাই অল্প দিনেই তিনি সকল সাংবাদিকদেরও কাছের ও প্রিয় মানুষ।
চাক্ষুষ পরিচয়ের অনেকের চোখে হিরো খায়রুল আলম রফিক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী সাংবাদিকতা, অভিজ্ঞতার অফুরান ভাণ্ডারি খায়রুল আলম রফিক। তিনি প্রধানত রিপোর্টার। দেখার চোখ অন্তর্ভেদী। একই জায়গায় দশজন যা দেখেন, খায়রুল আলম রফিক দেখেন অন্যরকম। আর সেই দেখাটাই তার লেখাকে দিয়েছে বাড়তি সমীহ। সহযোদ্ধাদেরও উপদেশ দেন, যখন কোথাও যাবেন, নিজের মতো করে কিছু একটা দেখার চেষ্টা করবেন। যাতে রিপোর্টে নিজস্ব ছাপ থাকে। অন্যদের থেকে আলাদা করা যায়। শুধু লেখার হুল নয়, নিছক মজায় বসদের জ্বালাতন করাতেও খায়রুল আলম রফিকের জুড়ি মেলা ভার। চিফ রিপোর্টার তো দূরস্থান, খোদ সংবাদপত্রের সম্পাদকদেরও সেই জ্বালা সইতে হয়েছে। তবে সবই বিশুদ্ধ রসিকতা। আর বড়রা সেটা বুঝেন, উপভোগও করেন। বাস্তবে বাড়ি-গাড়ি-সংসার বিষয়ে খায়রুল আলম রফিক চরম উদাসীন।
সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক সংবাদিকতার প্রতিটি স্তরে কৃতী। সাংবাদিকতার স্বীকৃতিতে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
সম্পাদনায় খায়রুল আলম রফিকের পরিচিতির জগৎ স্বাভাবিকভাবেই বিস্তৃত। তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বৃত্তে বিখ্যাত ব্যক্তিগণ । সেখানে দল, মত, গোষ্ঠীর কোনো নেই বাছবিচার। তবে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক কখনো তার সাংবাদিক সত্তাকে আচ্ছন্ন করে না। যা উচিত বলে মনে করেন পরম বন্ধুর বিরুদ্ধে হলেও সে কথা লিখতে তার দ্বিধা নেই। এই আপসহীনতাই খায়রুল আলম রফিকে এগিয়ে এনেছে ।
জনপদকে সংবাদ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রকারীদের লিখনিতে বুঝিয়ে দেন, সাংবাদিককে তার কাজ থেকে, নাগরিককে তার অধিকার থেকে, নির্বাসিত হতে দেবেন না।
খবর থাকলে ভুলও থাকবে। থাকবে একশো আপত্তির, ছশো অনুযোগ। আগেও সংবাদপত্রে কুৎসিত কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে তাঁবেদারি, সবই ছিল। তবু নাগরিক অধিকার, আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়, মানুষের মর্যাদা, গণতন্ত্র—প্রতিটি ধারণাকে গুটিকয় ইংরেজি-শিক্ষিত, ধনীর বৈঠকখানা থেকে হাটেমাঠে, উঠোন-দাওয়ায় টেনে এনেছিল সংবাদ। আজও আনছে। নাগরিকও তা জানেন। বহু ছাইভস্মের মধ্যে এক কুচি সোনা যেমন ঝকঝক করে ওঠে, তেমনই প্রচারের ভুষোমালের মধ্যে থেকে একটা সাচ্চা খবর। চোখে পড়লেই মনে গেঁথে যায়। বিশ্বাস হয়ে যদি থাকে খায়রুল আলম রফিকের লেখা খবর। পাশপাশি সাংবাদিকের অধিকার নিয়ে লড়াইও তিনি লড়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিককে তার কাজ থেকে, নাগরিককে তার অধিকার থেকে, নির্বাসিত হতে দেবেন না। চোখে পড়লেই মনে গেঁথে যায় যদি থাকে খায়রুল আলম রফিক প্রকাশিত খবর।