বিশেষ প্রতিবেদক, এ এম সারওয়ার জাহান/
জীবন সংগ্রামী এক নারীর গল্প, যার জীবনের পথ চলা শুধু কষ্ট বেদনা আর বুক ভরা স্বপ্ন, যে স্বপ্নগুলো শুধু স্বপ্নই থেকে যায় স্বপ্ন আর পূরণ হয় না ,তারপরও হাল ছেড়ে দেননি সাহসী নারী যার নাম শাহিদা ইসলাম পুতুল,
বাবা শাহাবুদ্দিন তালুকদার, মা হোসনিয়ারা বেগম, এই সাহসী নারী পুতুলের বাবার বাড়ি ফরিদপুর হলেও জন্মটা হয়েছে ঢাকার বারিধারা, ১৮৮৭ সালে পহেলা জানুয়ারি,কালাচাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন, সাহিদা ইসলাম পুতুলের শৈশব এবং কৈশব সবকিছুই ঢাকায় , দেশবাংলা প্রতিদিনের নারীদের নিয়ে কাজ করা অনুসন্ধান টিম এর কাছে এক সাক্ষাৎকারে শাহিদা ইসলাম পুতুল তার জীবনের গল্প গুলো জানান, এই সাহসী নারী ঢাকার কালা চাঁদপুর থেকে এসএসসি পাস করেন, পুতুলের বয়স মাত্র যখন ১৬ বছর ,ভাগ্যের এক নির্মম পরিহাস ১৬ বছর বয়সে পরিবারের মতে বিয়ে হয় পুতুলের, বিয়ের পর রেগুলার আর পড়াশোনা হয় না ,একটা সময় পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় পুতুলের, পুতুল বলেন আমার অনেক স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করার ,পড়াশোনা করে বড় কিছু হব ,বাবা-মা ও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবো, কিন্তু বিয়ের পরে তা হলো না, সম্ভব হয়ে ওঠেনি ,আমার স্বপ্ন ওখানে থেমে যায়, তারপরও আমি স্বপ্ন দেখতাম ,আমি একটা কিছু করব, এভাবে চলছিল আমাদের দাম্পত্য জীবন, অনেক বছর চলে যায় এর ভিতর অনেক কিছুই ঘটে যায়, , ২০১৬ পর্যন্ত আমাদের দাম্পত্য জীবন মোটামুটি ভালোই যাচ্ছিল ,২০১৬ সালের আগস্ট মাসে আমার জীবনের সঙ্গী আমার জীবনের ছায়া আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমার সংসারের হাল আমাকে ধরতে হয়,
ছোটখাটো একটা চাকরি করে সন্তানদের পড়াশোনা বাবা-মার ভরণ পোষণ সবকিছু আমাকে চালাতে হয়, আর এই চাকরি করে যেন রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়, এভাবেই যাচ্ছে আমার জীবনের পথচলা আমার জীবন সংসার তারপরও আমি হাল ছাড়িনি / পুতুলের এই কথাগুলো শোনার পর একজন গণমাধ্যম কর্মী হয়ে চোখে জল ধরে রাখতে পারিনি, অনুভব না করলে বোঝা যায় না, প্রতিকূলতার মাঝে নারীরা আজ অনেক দূর এগিয়ে আছে , দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী দেশের স্পিকার নারী , বড় বড় পদে নারীরা এগিয়ে ,তারপরও কেন জানি নারীরা অসহায়, আপনার কাছে কি জানা আছে উত্তর, সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে শাহিদা ইসলাম পুতুল, আজও সন্তান মা বাবা নিয়ে বেঁচে আছে,
ছোট একটি চাকরির পাশাপাশি শাহিদা ইসলাম পুতুল, একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন সেটি হল ,পুতুলের ঘরোয়া রান্না, আর এ প্রতিষ্ঠান থেকে যতটুকু আয় হয় তা দিয়েই চলছে পুতুলের জীবনের পথচলা, জানিনা কতটুকু সামনের দিকে এগোতে পারবে এই ছোট নারী উদ্যোক্তা, সমাজে অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান আছেন, অনেক বিত্তশালী লোক আছেন, অনেক ভালো লোক আছেন যারা চাইলেই দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা অবহেলিত দরিদ্র এই নারী গোষ্ঠীকে সহযোগিতা করতে পারেন ,তাহলে হয়তো একটু একটু করে এই সমাজের অবহেলিত ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাগুলো দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি উজ্জ্বল করতে পারবে ,
বর্তমানে সাঈদা ইসলাম পুতুল মা বাবা দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখেm বড় সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থেকে চাকরি করছেন চাকরির পাশাপাশি পুতুলের ঘরোয়া রান্নার প্রতিষ্ঠানটি তিনি নিজেই পরিচালনা করছেন, আপনি চাইলে
পুতুলের ঘরোয়া রান্না প্রতিষ্ঠানের পেজটি ঘুরে আসতে পারেন, এবং দেখতে পারেন তার রকমারি রান্নার কি আয়োজন, চাইলে খাবারের অর্ডার দিয়ে পুতুলের পাশে দাঁড়াতে পারেন ,এটাই সংগ্রামী নারী উদ্যোক্তা শাহিদা ইসলাম পুতুলের প্রত্যাশা