নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত প্রবাহ। সেই সাথে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়ছে জনজীবন। বিশেষ করে ছিন্নমূল, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষরা এই প্রচন্ড শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন। গত দুই সপ্তাহ যাবত নওগাঁ ও তার আশেপাশের অঞ্চলের তাপামাত্র ৮-১৫ ডিগ্রির মধ্য ওঠানামা করছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে সকল শ্রেণির মানুষ।
অনেকেই অর্থের অভাবে শীতের গরম কাপড় কিনতে না পারার কারণে অনেকটাই কষ্টের মধ্যদিয়ে এই কনকনে শীতে দিন অতিবাহিত করছে। এই সব শীতার্তদের মানুষদের গরম কাপড়ের অভাব থেকে রক্ষা করতে প্রতি শীত মৌসুমেই সরকার, বিভিন্ন এনজিও, সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীত বস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি শীত মৌসুমে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন নিজেই গত শুক্রবার দিনগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করা ছিন্নমূল, অসহায়, খেটে খাওয়া শতাধিক শীর্তাত মানুষদের খুজে খুজে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরন করেছেন। শীতবস্ত্র পাওয়া একাধিক শীর্তাতরা বলেন, এদানিং শীতের দাপট অনেক বেড়েছে। এই শীতের মধ্যে স্যারের দেওয়া এই শীতবস্ত্র আমাদের অনেক উপকারে আসবে। বিশেষ করে ভ্যান গাড়ি চালানোর সময় অনেক বাতাস লাগে এবং স্টেশনে ফাঁকা জায়গায় শুয়ে থাকার সময় অনেক ঠান্ডা লাগে। প্রচন্ড শীত আর ঠান্ডা বাতাস থেকে অনেকটাই রক্ষা পাবো।
রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, প্রকৃত শীর্তাতদের মাঝে সরকার প্রধানের উপহার এই শীত বস্ত্র পৌছে দিতে আমি চেস্টা করছি। অনেক সময় তালিকা করে শীত বস্ত্রগুলো বিতরন করলে অনেক মানুষই তা পায় না। যাদের প্রয়োজন নেই তারাও সুযোগ বুঝে গ্রহণ করে। এমনটি যেন না হয় তার জন্য আমি চেস্টা করছি। আমি রাতে বিশেষ করে রেল স্টেশনে থাকা ছিন্নমূল মানুষ, ভ্যান চালক, অসহায় মানুষদের মাঝে এই শীতবস্ত্র পৌছে দেওয়ার চেস্টা করছি। আশা রাখি এই শীতবস্ত্রগুলো পেয়ে এই মানুষগুলো অনেক উপকৃত হবে।
তিনি আরো বলেন, এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে। প্রকৃত শীর্তাত মানুষরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি তাদেরকে শীতবস্ত্র পৌছে দিতে চেষ্টা করবো। শুধু সরকারই নয় মানুষ মানুষের জন্য এই বিষয়টিকে হৃদয়ে ধারন করে যদি সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সামর্থবানরা নিজ নিজ এলাকার আশেপাশের দু:স্থ মানুষগুলোর দিকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে তাহলে আমাদের দেশে কোন অসহায় ও গরীব মানুষ থাকতো না।