আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের দুই মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকর পর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কাত্রা মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ‘ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের কিছু বিষয় নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষই বাংলাদেশের বিষয়ে স্পষ্টভাবে তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে।’
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পঞ্চম ‘টু প্লাস টু’ পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠিত হল। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, উদীয়মান প্রযুক্তি, উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক উদ্বেগ এবং সেইসঙ্গে চলতি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় হয়েছে। বৈঠকে স্পষ্ট আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়েও।
এতে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংসহ দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। গত ২০১৮ সাল থেকে ভারত ও যু্ক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও এই দুই মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে এই ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক হয়ে আসছে।
বিনয় কাত্রা বলেন, ‘বাংলাদেশের আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার। সে হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং দেশটির জনগণ নিজেদের জন্য যে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল অবস্থার আশা করে, আমরা তাদের সে লক্ষ্যকে সমর্থন দিয়ে যাব। আমরা বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব স্পষ্টভাবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছি। মার্কিন মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার সময় আমরা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি কীভাবে মূল্যায়ন করি তা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, এই আলোচনায় বাংলাদেশের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারি না। আমি মনে করি যখন বাংলাদেশের উন্নয়ন বা নির্বাচনের কথা যখন আসে, তখন এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করে।’