বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ২৬টিরই কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের হামলায় আল-শিফা হাসপাতালের একাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় উপত্যকায় অসুস্থ ও আহত লোকজনের চিকিৎসাসেবায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন শিশু ও রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানান যে, গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ২৬টি আর চালু নেই। এ ছাড়া বাকি ৯টি হাসপাতালে কেবল আংশিকভাবে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
গত ১০ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, গাজা উপত্যকার দুই তৃতীয়াংশ হাসপাতাল একেবারেই চালু নেই।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
শত শত ইসরায়েলি সৈন্য আল-শিফা হাসপাতালের প্রত্যেকটি বিভাগে তল্লাশি শুরু করেছে। হাসপাতাল ভবনের দক্ষিণের একটি অংশ ইসরায়েলি বাহিনী বুলডোজার গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ধারণা হাসপাতালটিতে হামাসের সৈন্যরা লুকিয়ে রয়েছে।
সৈন্যদের তল্লাশি চালানোর এ তথ্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।তবে হাসপাতালের ভেতরে অবস্থানরত চিকিৎসক ও রোগীরা সেখানে হামাসের উপস্থিতি নেই বলে জানিয়েছেন।