• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]

নেত্রকোনার ৫ সংসদীয় আসনে ১৩ জনের মনোনয়ন বাতিল

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি;  / ৬৮ জন দেখেছেন
আপডেটঃ সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
নেত্রকোনার ৫ সংসদীয় আসনে ১৩ জনের মনোনয়ন বাতিল

 

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি;

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে নেত্রকোনার ৫টি আসন থেকে মোট ৩৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দানের পর যাচাই বাছাই কার্যক্রমে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে (আওয়ামী লীগের) প্রার্থী সহ মোট ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। আওয়ামীলীগ মনোনীত ৫ প্রার্থীসহ মোট ২৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন নেত্রকোনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের কার্যক্রম। যাচাই বাছাইয়ের সময় প্রার্থীদের দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্রে প্রার্থী ও প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারীর স্বাক্ষর না থাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে (১ শতাংশ) ভোটারের স্বাক্ষর বা টিপসহি না থাকা, ঋণ খেলাপী, বিল খেলাপীর কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় নেত্রকোনা-১ (দূর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে ২ জন, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে ৩ জন, নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে ৩ জন, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে ২ জন এবং নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে ৩ জন সহ ৫ টি আসনে মোট স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা (জেলা প্রশাসক) শাহেদ পারভেজ।

বাতিলকৃত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন:

নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলের মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কলমাকান্দ উপজেলার রংছাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দিন ও জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ ছমির উদ্দিন।

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত সরকার, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মোঃ আমজাদ হোসেন ঠাকুর, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাজহারুল ইসলাম খান। 

নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের আওয়ামী লীগ দলের মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আব্দুল মতিন, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী রিগ্যান আহমেদ। 

নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনের আওয়ামী লীগ দলের মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী নব্বইয়ের গণআন্দোলনের অন্যতম নেতা শফী আহমেদ ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আল মামুন।

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের আওয়ামী লীগ দলের মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মিছবাহুজ্জামান চন্দন ও যুবলীগ নেতা মোঃ মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির।

মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থীরা হলেন,

নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক জোটের প্রার্থী আহমদ শফি, স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা।

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, জাতীয় পার্টির মোছাঃ রহিমা আক্তার আসমা সুলতানা, জাকের পার্টির মানিক চন্দ্র সরকার, ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মোঃ ইলিয়াস, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) প্রার্থী এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অসীম কুমার উকিল, জাতীয় পার্টির জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, জাকের পার্টির মোঃ সুরুজ আলী, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ এহ্তেসাম সারওয়ার, তৃণমূল বিএনপির মিজানুর রহমান খান, স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী।

নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুড়ি) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান, জাতীয় পার্টির লিয়াকত আলী খান এডভোকেট, জাসদের মোঃ মুশফিকুর রহমান।

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আহমদ হোসেন, জাতীয় পার্টির ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াহাব হামিদী।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে আসনের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেরই তা ত্রুটিপূর্ণ। কারও কারও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ও খেলাপি ঋণ আছে। এসব কারণে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। প্রার্থীরা চাইলে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া শফী আহমেদ, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনসহ অন্তত চারজন প্রার্থী বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। এরপর ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ থাকছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।


আপনার মতামত লিখুন :

মতামত লিখুন

এই বিষয়ের আরও খবর

এইমাত্র পাওয়া

No video found!

May 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

No video found!