গত বেশ কিছু দিন ধরে দেশের রাজনিতীতে নতুন করে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। গেলো আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ এবং তাতে বাঁধা দেওয়া সবকিছু মিলে টানটান উত্তেজনার সূত্রপাত হলেও আওয়ামীলীগ ও বিএনপির এখন মাঠ দখলের রাজনীতিতে গড়িয়েছে এই রাজনীতির উত্তাপ এখন সংসদ ভবনের ভেতরে কিনা, এনিয়ে আলোচনা এখন সব জায়গায় । বিএনপি ও আওয়ামীলীগ একে অপরের সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রদর্শনের পাশাপাশি সংসদে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। গেল শনিবার ওই দিন রংপুরে বিএনপির নির্ধারিত সমাবেশের কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আমাদের দাবি একটাই এই সরকাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা, যে কোনো সময় জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুুত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পরদিন সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যে বার্তা দিয়েছেন, তার মানে দাড়ায় বিএনপির সংসদ সদস্য মাত্র সাতজন তাদের পদত্যাগ খুব একটা সমস্যা হবেনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের কয়েক ঘন্টার মাথায় রাত সাড়ে আটটায় জানা গেলো জাতীয় পার্টি সোমবার সংসদে যাবেনা -গতকাল সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছে – এদিন দলটি এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন , জাতীয় পার্টির প্রধান জি,এম, কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা করার বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত জাতীয়পার্টি সংসদে যাবেনা অন্যদিকে আওয়ামী লীগের এক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন জাতীয় পার্টির সংসদ বর্জনের সিদ্ধান্ত বড় কোনো সংকটের কারন হবেনা, আমি আসা করি তারা তাদের সমস্যা সমাধান করে ফেলবে।
আওয়ামী লীগের নেতারা যে যাই বলুক রাজনৈতিক তাপ যে বাড়ছে সেটা বুঝাই যাচ্ছে
বিএনপির রংপুরের সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা সম্মেলনের বড় জমায়েত করাকে রাজনৈতিক অংগনে হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এদিকে ০৫ নভেম্বরে বরিশালে বিএনপির সমাবেশ, ওইদিন কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের মহানগর সম্মেলন, আওয়ামী লীগ এটাকে পাল্টপাটি বলতে রাজি নয়, সব মিলিয়ে রাজপথের আন্দোলনের তাপ সংসদ পর্যন্ত গড়াচ্ছে কিনা, এ নিয়ে সর্ব মহলে আলোচনা