• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]

সাভারে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শতাধিক পোশাক কারখানা

খোরশেদ আলম, সাভার উপজেলা প্রতিনিধি / ৭২ জন দেখেছেন
আপডেটঃ শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি/
প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের মুখে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল। ইতিমধ্যে এই অঞ্চলের প্রায় শতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা, বেরণ ও নরসিংহপুর এলাকায় গিয়ে কারখানা গুলোর সামনে অনির্দিষ্টকালের বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে। এসময় অনেক কারখানার ফটকের সামনে কিছু শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে এসে দাড়িয়ে ছিলো।
নোটিশে বলা হয়েছে, ৯ নভেম্বর সকাল ১০ টায় এবং বিগত কয়েকদিন ধরে বেলা ১১ টা ও বিকেল ৩ টার সময় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বহিরাগত পোশাক শ্রমিকদের বে-আইনীভাবে কারখানার ভেতর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কারখানা ভাংচুর ও কারখানার কাজ বন্ধ রাখাসহ কর্মস্থলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করায় কারখানার উৎপাদন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ১০ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলো।
জামগড়া এলাকার দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, পাইয়োনওয়ার ক্যাজুয়াল ওয়্যার লিমিটেড, বেরণ এলাকার এনভয় গ্রুপের মানটা এ্যাপারেলস লিমিটেড, স্টারলিংক অ্যাপারেলস লিমিটেড, শারমিন গ্রুপের এ.এম ডিজাইন, হলিউড গার্মেন্টস লিমিটেড, নরসিংহপুর এলাকার হামিম গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, বড় রাঙ্গামাটিয়া এলাকার টেক্সটাউন টিমিটেড ও অরনেট নীট গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কাঠগড়া এলাকার এআর জিন্স ও আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ অধিকাংশ কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ.এম ডিজাইন কারখানার শ্রমিক আয়েশা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার কারখানায় এসে কাজ যোগ দেয়ার পরপরই ছুটি দেয়া হয়। এরপর শ্রমিকরা সবাই বাসায় ফিরে যায়। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ গেছে। আজ সকালে কারখানার সামনে এসে অনির্দিষ্টকালের ছুটির নোটিশ দেখতে পাই। মালিকপক্ষ কি কারণে বন্ধ দিলো আমাদের কিছুই জানানো হয় নাই।
তিনি আরও বলেন, মজুরি বাড়ানোর আন্দোলন করগে গিয়ে আমাদের শ্রমিকরা গুলি খেয়ে মারা গেলো। তার কোন বিচার নাই। এখন আবার কারখানা বন্ধ করে দেয়া হলো। তাহলে আমরা শ্রমিকরা কোথায় যাব?
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে পরিস্থিতি অনেক ভালো। তবে শ্রমিকরা কাজ না করায় সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকায় ১৩০টি তৈরি পোশাক কারখানা শ্রম আইন অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন সময় শ্রমিক অসন্তোষে বিশৃঙ্খলা  ও ভাংচুরের ঘটনায় পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় চারজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মতামত লিখুন

এই বিষয়ের আরও খবর

এইমাত্র পাওয়া

No video found!

May 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

No video found!