ভোটের দুই সপ্তাহ বাকি থাকতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ঢাকা থেকে জেলা পর্যায়ে পাঠানো শুরু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
ঢাকার তিনটি প্রেস থেকে সোমবার প্রথম ধাপে ১৩টি জেলার ৫২টি আসনের জন্য ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড পাঠানো হচ্ছে।
ঢাকা থেকে ব্যালট পেপার জেলায় পাঠানোর এই কাজ চলবে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত। সেগুলো জেলা প্রশাসকের ট্রেজারিতে পুলিশি নিরাপত্তায় থাকবে। তারপর ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হবে ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন সকালে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহজালাল তেজগাঁওয়ে গভার্নমেন্ট প্রেসের সামনে সাংবাদিকদের বলেন দূরত্ব বিবেচনা করেই ব্যালট পেপার এবার দ্রুত বিতরণ শুরু করেছে ইসি।
বান্দরবান, রাঙামাটি এসব জেলা অনেক দূরে। এসব জেলায় ব্যালট পেপার পাঠাতে অনেক সময় লাগে হেলিকপ্টারেও পাঠাতে হয়। এই বিবেচনা করে দূরবর্তী এলাকাগুলোতে আগে পাঠাচ্ছি।
প্রথম দিন ঢাকার গভার্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস থেকে পঞ্চগড়> গাইবান্ধা> মেহেরপুর> কুষ্টিয়া, মাগুরা ও রাঙ্গামাটি> বিজি প্রেস থেকে জয়পুরহাট> চাঁপাইনবাবগঞ্জ,>ঝালকাঠি ও ভোলা এবং সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে বরগুনা> পটুয়াখালী ও নেত্রকোনা জেলার ব্যালট পেপার বিরতণ করা হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৭টি দল নির্বাচরি প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ভোট বর্জনের আহ্বানে অসহযোগের ডাক দিয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকেই দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে তারা, এসব কর্মসূচির মধ্যে যানবাহনে নাকশতাও ঘটছে।রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও জেলায় জেলায় নির্বাচনী সামগ্রী পাঠাতে কোনো ঝুঁকি দেখছেন না মো. শাহজালাল।তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সাথে এসেছে। নিরাপত্তার জন্য মোবাইল টিমগুলোও থাকবে।>প্রার্থিতা নিয়ে মামলাগুলো মাথায় রেখে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট মুদ্রণ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এরপর কবে কোন কোন জেলায় ভোটের সামগ্রী পাঠানো হবে, তা নির্বাচন কমিশন জানাবে।ভোটের জন্য আসনভিত্তিক ভোটার সংখ্যার সমান ব্যালট পেপার ছাপাতে হয়, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম ও প্রতীক থাকে।